বাবা আবুল হায়াতের জন্মদিনে নিউইয়র্ক থেকে কী বললেন মেয়ে বিপাশা হায়াত

আবুল হায়াত ও বিপাশা হায়াতসংগৃহীত

‘প্রতিটি সুন্দরের স্পর্শ তাঁকে নতুন জীবন দিয়ে চলে। প্রতিটি স্বপ্ন তাঁকে প্রাণস্পর্শ দেয়। কর্মের ভেতর দিয়ে তিনি সেই সুন্দর আর স্বপ্ন ছড়িয়ে দেন চারপাশে। সন্তানের দূরত্ব তাঁকে বেদনার্ত করে, কিন্তু দেশমাতৃকার দূরত্ব তাঁকে নির্জীব করে। জন্মস্থান নয়, বাংলাদেশকে তিনি দিয়েছেন তাঁর নিঃশেষ অধিকার,’ বাবা আবুল হায়াতের জন্মদিনে কথাগুলো লিখেছেন অভিনয়শিল্পী বিপাশা হায়াত।

পরিবার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকেন এই অভিনেত্রী, লেখক ও চিত্রশিল্পী। তাঁর ছেলেরা সেখানেই পড়াশোনা করছে। অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা স্বামী তৌকীর আহমেদও যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। মাঝেমধ্যে চলচ্চিত্র বানাবেন বলেও জানিয়েছেন। এ মুহূর্তে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করা বিপাশা হায়াত তাঁর বাবা আবুল হায়াতের এবারের জন্মদিন উপলক্ষে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে অপূর্ব মানুষটির কারণে আমার সকল কর্মের সূত্রপাত, ১৯৪৪ সালের আজকের এই দিনটিতে তাঁর জন্ম হয়েছিল অখণ্ড উপমহাদেশের ভারতীয় অংশে। যে শিশুর জীবনের শাখা–প্রশাখা বিস্তার করার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের জজান ভূখণ্ডে, ইংরেজ শাসনের অগ্নিঝরা দেশ বিভাগ তাঁর শুধু ভাগ্যই বদলে দেয়নি, তাঁকে বাংলাদেশের মৃত্তিকার সন্তান হিসেবে বেঁচে থাকার কারণ ঘটিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি তাঁর ধমনি ও শিরা-উপশিরায় রক্তের বদলে বয়ে চলে। এ দেশের প্রতি তাঁর মায়া যেন জন্মান্তরের। তেমনই ভালোবাসায় দেশ আর দেশের মানুষ তাঁকে জড়িয়ে রেখেছে, যেমন থাকে জননীর মমতায় শিশু।’

পরিবারের সঙ্গে আবুল হায়াত
সংগৃহীত।

বিপাশা হায়াত তাঁর ফেসবুকে এ–ও লিখেছেন, ‘এ মানুষটিকে আমি আটাত্তরবার নয়, অসংখ্যবার জন্মাতে দেখেছি। প্রতিটি সুন্দরের স্পর্শ তাঁকে নতুন জীবন দিয়ে চলে। প্রতিটি স্বপ্ন তাঁকে প্রাণস্পর্শ দেয়। কর্মের ভেতর দিয়ে তিনি সেই সুন্দর আর স্বপ্ন ছড়িয়ে দেন চারপাশে।’

বিপাশা জানিয়ে রাখলেন, তাঁর বাবা আবুল হায়াত আত্মজীবনী লেখার কাজ শুরু করেছেন। সেই আত্মজীবনী লেখার জন্য শুভকামনা জানিয়ে বিপাশা লিখেছেন, ‘কিছুদিন আগে তিনি লিখতে শুরু করেছেন তাঁর আত্মজীবনী। আমার পূর্বপুরুষ ও তাঁদের দেশান্তরিত হওয়ার ইতিহাস। তাঁর কাছ থেকে স্বপ্ন ধার করে আমি দিন গুনছি এই সম্পূর্ণ ইতিহাস জানার জন্য। লিখে চলো আব্বু। তোমার সকল স্বপ্ন পূর্ণ হোক প্রিয়তম সহযাত্রীর হাত ধরে।’