‘জীবনটাকে দোকানে তুলে দিয়েছি, সবই বিক্রয়যোগ্য’, ফেসবুকে আফজাল হোসেন
বিভিন্ন সময়ের নানা ঘটনা নিয়ে প্রায়ই ফেসবুক পোস্টে মতামত প্রকাশ করেন অভিনেতা আফজাল হোসেন। ফেসবুকে চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনায় সোচ্চার হন, সচেতনভাবে ব্যক্ত করেন নিজের কথা। এই অভিনেতা এবার লিখেছেন, ‘আমরা পুরো জীবনটাকে দোকানে তুলে দিয়েছি। সবই বিক্রয়যোগ্য। পয়সা দরকার, বাহবা মেলা দরকার। এই বেনিয়া স্বভাবের কারণে স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক, সুস্থ বা অসুস্থ কারা, বোঝা এখন মুশকিল।’
বর্তমান সময়ে ভালো আর মন্দের পার্থক্য করাই যেন কঠিন হয়ে গেছে। একই সারিতে সবকিছু বাছবিচার করলেই এক শ্রেণির মানুষ আশ্বস্ত হয়। ‘একই গ্লাসে ভালো আর মন্দ ঢেলে ঝাঁকিয়ে শরবত বানিয়ে বাজারজাত করা চলছে সগৌরবে। পান করে কেউ বমি করলে দোষের। বাহবা দেওয়া আর বাহবা পেতে চাওয়াদের এবং যা খুশি, তা–ই করে বলে জাতে উঠতে চাওয়াদের সংখ্যা বাড়ছে, বেড়েই চলেছে।’ লিখেছেন আফজাল হোসেন।
দিন দিন চারপাশের ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে অসভ্যদের আনাগোনা বাড়ছে। এর মধ্যেই কেউ কেউ নীতি ও আদর্শকে বিসর্জন দিচ্ছেন কি না, সেটাও মনে করিয়ে দিলেন। কারণ, সমাজের এক শ্রেণির মানুষ এতে লাভবান হচ্ছেন। যাঁরা আদৌও যোগ্য কি না, সেই প্রসঙ্গ নিয়েই আফজাল হোসেন লিখেছেন, ‘অসভ্যতার ভয়ে ঘরের দরজা–জানালা বন্ধ রেখে নিরাপদে থাকা শ্রেয়তর ভাবা হয়। চোর, ডাকাত, মূর্খদের গলায় যে জাতি মালা পরিয়ে পরিয়ে কৃতার্থ হয়েছে, একসময় সে মানসিকতায় অসভ্যের গলায় মালা তো উঠবেই, মিছিল তো হবেই অসভ্যতার পক্ষে।’
নানা ঘটনা নিয়ে কে প্রশ্ন করবে, সেই প্রশ্নও তুলছেন এই গুণী অভিনেতা। তিনি আরও লিখেছেন, ‘কে প্রশ্ন করবে, এর শেষ কোথায়? প্রশ্ন করাও দোষের কি না ভেবে দেখতে হয়। মানুষ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে গেলে নিশ্চয়ই সবকিছুর শেষ হবে।’