রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, ভুল–বোঝাবুঝিতে পোস্ট সরালেন ইরফান সাজ্জাদ

ইরফান সাজ্জাদ ও রুবাবা দৌলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক হয়েছেন করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা। সম্প্রতি বোর্ড সভায়ও অংশ নিয়েছেন তিনি। তাঁর এই দায়িত্ব গ্রহণকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দন ও আলোচনা—দুটোই চলছে।

অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ ফেসবুকে রুবাবা দৌলার একটি স্থিরচিত্র পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘এরপরও যদি পোলাপান পারফরম্যান্স না করতে পারে, তাহলে আর আশা নাই।’

পোস্টটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ইরফান এটিকে রসিকতা বলতে চাইলেও অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এমন রসিকতা ভুলভাবে ব্যাখ্যা হওয়ার সুযোগ রাখে।

করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা
প্রথম আলো

পরে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী স্ক্রিনশটসহ পোস্টটির প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, জনসমক্ষে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বক্তব্যে সংবেদনশীলতা থাকা জরুরি। তিনি ইরফানকে শব্দচয়নে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রতিক্রিয়ায় ইরফান সাজ্জাদ মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘আপনি আমাকে কতটুকু চেনেন বা জানেন আমি জানি না। আমি সব সময় ভাবি, আমি একজন খুব সাধারণ এবং সবার মতো আমিও বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন বড় ভক্ত। আপনি আমার পোস্ট খেয়াল করলে দেখবেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সার্কাজম পোস্ট করেছি। এটাও রসিকতামূলক পোস্ট ছিল! রুবাবা (রুবাবা দৌলা) আপু আমার ক্রাশ। আমি তাঁকে স্বাগত জানাই। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম, এত সুন্দর এবং মেধাবী একজন মানুষ বিসিবিতে যুক্ত হয়েছেন, তারপরও যদি বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা মোটিভেশন না পায়, পারফরম্যান্স না করে।’

ইরফান সাজ্জাদ
ছবি : ইরফানের ফেসবুক

পরে ভুল–বোঝাবুঝি এড়াতে ইরফান পোস্টটি নিজের ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে ভুলভাবে নিয়েছেন, তাই মুছে দিয়েছি। আমি এ–ও বলতে চাই, রসিকতামূলক কোনো লেখার অর্থ না বুঝে ট্যাগিং দেওয়া উচিত না। আমি পুরো ব্যাপারটা রসিকতা করেই লিখেছি।’

এদিকে এমন সময়ে, ইরফান সাজ্জাদের অভিনীত নতুন ওয়েব সিরিজ ‘এটা আমাদেরই গল্প’ আজ (বুধবার) সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল পরিচালিত এ সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন কেয়া পায়েল, খায়রুল বাসার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, মনিরা মিঠু, নাদের চৌধুরী ও বড়দা মিঠু।