এবার মনে হচ্ছে পাঞ্জাবি কেনার টাকাও হবে না, হেসেই বললেন তৌসিফ
একসময় ঈদে কাজের সংখ্যায় প্রায় সর্বাধিক নাটক প্রচারিত হয়েছে অভিনেতা তৌসিফ মাহবুবের। সেখানে দুই বছর ধরে ঈদে খুবই কম নাটকে অভিনয় করছেন। এবার গতবারের চেয়ে সেই সংখ্যা আরও কমিয়ে এনেছেন। তা ছাড়া একটি নাটকের জন্য দীর্ঘ সময় নিয়ে শুটিং করতে হচ্ছে। কিন্তু পারিশ্রমিক সেই আগের মতোই। তাই হেসেই এই অভিনেতা বললেন, ‘এবার মনে হচ্ছে পাঞ্জাবি কেনার টাকাও হবে না।’
তৌসিফ জানান, এবার ঈদে পাঁচটি নাটকে অভিনয় করেছেন। এসব নাটক শুটিংয়ে কোনোটির পেছনে ১২ দিন পর্যন্ত সময় দিতে হয়েছে। বেশির নাটকই ৫-৭ দিন সময় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আগে তো দুই দিনে একটি নাটকের শুটিং করতাম। ঈদের আগে তাড়াহুড়া করে অল্প সময়ে কাজগুলো করতে হতো। সেখানে এখন দ্বিগুণ, তিন গুণের বেশি সময় দিয়ে কাজগুলো করতে হচ্ছে। এমনটা না যে সেই অতিরিক্ত সময়ের জন্য পারিশ্রমিক বেশি নিচ্ছি।’
একসময় ঈদে কাজের সংখ্যায় শিরোনাম হতেন তৌসিফ। দেখা যেত, নিজের পছন্দের বাইরে বা অনুরোধে অনেক কাজ করতে হতো। তা ছাড়া ক্যারিয়ার শুরুর দিকে পর্দায় থাকার জন্যও এই কাজগুলো করতেন। তৌসিফ বলেন, ‘এখন সময়টা বদলে গেছে। এখন আগের মতো পর্দায় মুখ দেখাতে হয় না। এমনতেই দর্শকেরা আমাকে চেনেন, ভালোবাসেন। আমি চাইছি, শুধু বিশেষ দিবসই নয়, অন্য কাজগুলো গুরুত্ব দিয়ে করতে। আপনারাই তো একসময় নিউজ করেছেন ৫০টি ঈদ নাটকে তৌসিফ। সেখানে এবার মাত্র ৫টি নাটক। আমি সংখ্যার চেয়ে মানকেই গুরুত্ব দিচ্ছি দুই বছর ধরে। এটা থেকে আমি কাজের জায়গায় অনেক স্বস্তি পাচ্ছি।’
সর্বশেষ তৌসিফ বলেন, ‘আমি চাইলে ৩ দিনের যে কাজটি ১২ দিনে করছি, সেখানে আলাদা পারিশ্রমিক নিতে পারতাম। কিন্তু নিইনি। আমি প্রোডাকশনের ব্যয়ের কথা চিন্তা করে পারিশ্রমিক সেই একই জায়গায় রেখেছি। এর মধ্যে অনেক নাটকের প্রস্তাব এসেছে, কিন্তু করতে পারিনি। সব মিলয়ে মনে হচ্ছে, এবার যে কাজ করেছি, তাতে কী যে শপিং করব। এত কম কাজ করেছি। এবার মনে হচ্ছে পাঞ্জাবি কেনার টাকাও হবে না (হেসে)। অবস্থা তেমনই। তারপরও কাজগুলো নিয়ে আমি খুশি। দর্শকেরা গল্পে ভিন্নতা পাবেন।’