ফেসবুকে রিচ কমে গেছে তাই ছবিটি পোস্ট করেছি...
হঠাৎ করেই ফেসবুকে ভেসে এল একটি বিয়ের ছবি। সেখানে সেই অভিনেতা ছোট্ট শরীফুল ইসলাম বিয়ের সাজে। সঙ্গে কনে সাজে এক তরুণী। ছবিটি পোস্ট করে শরীফুল লিখেছেন, ‘আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ ছবিটির নিচে ভক্তরা ও সহকর্মীরা শুভকামনা জানিয়ে মন্তব্য করছেন। কবে বিয়ে করেছেন, সেসব তথ্যও অনেকে মন্তব্যে জানতে চাইছেন। এই বিয়ে নিয়ে অভিনেতা শরীফুল জানালেন ভিন্ন কথা।
সোমবার শরীফুলের সঙ্গে কথা হয়। বলেন, আজ শুটিং নেই। সময়টা বাড়িতেই কাটাচ্ছেন। ফোন দিতেই হাসছিলেন এই অভিনেতা। বললেন, ‘কী করছি জানতে চাইছেন। আমি কি বিয়ে করেছি, এটাই তো? এটা সে রকম কিছু না।’ ছবিটি কিসের এমন প্রশ্নে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি আসলে বিয়ে করিনি। কিন্তু বিয়ের সাজে ছবি দিয়েছি। চেয়েছি সবাই একটু কৌতূহলী হোক। আমাকে নিয়ে আগ্রহ দেখাক, সে জন্য একটু সাসপেন্স তৈরি করছি।’
শুটিং থাকায় বেশির ভাগ সময় ক্যামেরার সামনে ব্যস্ততায় কাটে। তখন ফেসবুকে আর বেশি সময় দিতে পারেন না। শরীফুল জানান, হঠাৎ করেই আজ ফেসবুক পেজে দেখেন রিচ কমে গেছে। শরীফুল বলেন, ‘কদিন ধরেই ফেসবুক পেজের রিচ ডাউন। এহন তো সবাই নানান রকম কিছু করে ফেসবুকে রিচ বাড়ানোর জন্য। ফেসবুকে রিচ কমে গেছে তাই ছবিটি পোস্ট করেছি, এখন সবাই মন্তব্য করতাছে। আমিও সবাইকে বলছি এটা শুটিংয়ের ছবি।’
মূলত তাঁর পোস্ট করা ছবিটি ‘সুদখোরের সুন্দরী বউ’ নাটকের। নাটকের সহশিল্পী নুসরাত সুলতানা। এটি শরীফুলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে। শরীফুল জানান, এখন নাটকের সংখ্যা কম। মাঝে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করলেও সেই কাজগুলো কয়েক মাস ধরে কমে যাচ্ছে।
‘এখন তো সব মিলায়া কাজ কম হচ্ছে। আর আমার কাছে মনে হয়, আগে তো শিশু চরিত্রে অভিনয় করতাম। যে কারণে কাজের সংখ্যা বেশি ছিল। এখন বড় হয়ে যাওয়ার কারণে হয়তো কিছুটা কাজ কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া শিশু চরিত্রও কম। তবে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি নিয়মিত কাজ করার।’
শরীফুল ইতিমধ্যে শেষ করেছেন চারটি নাটকের শুটিং। জোভানের সঙ্গে শেষ করেছেন সাথি আমার নাটকের শুটিং, শামীম হাসানের সঙ্গে মায়ার ফড়িং কাজগুলো। এখন অপেক্ষা করছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চরিত্রে অভিনয় করার। বৃহস্পতিবার থেকে শুটিং। তাঁর কথা, ‘শুটিং না থাকলে বাড়িতে ফেসবুকে সময় দেই। এখন থেকে হাত খরচের টাকাটা উঠে যায়। একটি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করছি। সেটা নিয়েও ব্যস্ত থাকি।’
হোতাপাড়ার খতিব খামারবাড়ি এলাকায় চা-বিস্কুটের দোকান ছিল তাঁর বাবার। কেউ চা-বিস্কুট চাইলে শরীফুল হাজির। বাবার দোকানে ও দোকানের আশপাশে প্রায়ই শুটিং হতো। কখনো শুটিংয়ে আসা শিল্পী, কলাকুশলীদের চা-বিস্কুট পৌঁছে দিতেন শরীফুল আর লুকিয়ে দেখতেন শুটিং।
এভাবেই একদিন চায়ের দোকানের পাশে ছোট্ট শরীফুলকে দেখে চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামানের পছন্দ হয়। পরে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের নাটকে কাজ করেন। একদিন ডাক পড়ে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর বিজ্ঞাপনে। সেই বিজ্ঞাপনের সংলাপ ছিল, ‘হু টোল্ড ইউ, অয়েল ইওর ওন মেশিন’ সংলাপ। এই একটি সংলাপ শরীফুলকে জনপ্রিয় করে তোলে। সেই থেকেই তিনি নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেন।