হালুম, টুকটুকি, ইকরিদের নতুন বন্ধু জুলিয়া
‘ছন্দে ছন্দে পনেরো এল/ সবাই মিলে এগোই চলো’ নিয়ে আবারও শুরু হচ্ছে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের নতুন মৌসুম। এবার সিজন-১৫। নতুন এই মৌসুমে হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকু হাজির হবে নতুন সব গল্প নিয়ে আর সঙ্গে থাকবে তাদের নতুন বন্ধু জুলিয়া। জুলিয়া চরিত্রটি সিসিমপুরে বিশেষ সংযোজন। সিসিমপুরে বাংলাদেশের অটিজমসম্পন্ন শিশুদের প্রতিনিধিত্ব করবে জুলিয়া।
ইউএসএআইডি/বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত নতুন এই সিজন আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দেখা যাবে দুরন্ত টেলিভিশনের পর্দায়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সবাইকে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া—বিষয় দুটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে সিসিমপুরের ১৫তম মৌসুম।
এ ছাড়া মজার মজার গল্পের মাধ্যমে প্রাক্-গণিত, প্রাক্-পঠন, অটিজম, পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব, বিশ্লেষণী চিন্তাভাবনা, জেন্ডারবিষয়ক প্রচলিত সংস্কারকে জয় করা এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাবপ্রকাশের উপায়কে সম্মান দেখানোর মতো বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হবে। থাকবে গণিত, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান নিয়ে দারুণ সব অ্যানিমেশন। আর শিশুদের নিয়ে লাইভ অ্যাকশন ফিল্ম। এ ছাড়া ‘ইকরির সাথে বর্ণ চেনা’ ও ‘টুকটুকির সাথে সংখ্যা চেনা’র প্রতিটি পর্বে ইকরি একটি করে বর্ণ ও টুকটুকি একটি করে সংখ্যা চেনাবে।
আজ সোমবার সিসিমপুরের সিজন-১৫–এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত ও অনুষ্ঠানের অতিথি ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নতুন সিজনের উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক উত্তম কুমার দাশ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য এ কে এম রিয়াজুল হাসান এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী সাকী খন্দকার। আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিকের কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের, বিটিভির পরিচালক জগদীশ এষ, মাছরাঙা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুমার কুণ্ডু, ‘ইউএসএআইডি সিসিমপুর’ প্রজেক্টের চিফ অব পার্টি মোহাম্মদ শাহ আলম প্রমুখ। সঙ্গে সিসিমপুরের বন্ধু বাহাদুর, ইকরি, শিকু, টুকটুকি, হালুম, নতুন বন্ধু জুলিয়ারা তো ছিলই।
ইউএসএআইডির আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত ‘সিসিমপুর’ ২০০৫ সাল থেকে প্রাক্-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।