নিজেকে কেন রানি ভাবেন সাদিয়া আয়মান

সাদিয়া আয়মান। ছবি: ফেসবুক থেকে

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজের চেষ্টায় এগিয়ে চলেছেন তরুণ অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। এখন আর কারও ওপর নির্ভর নয়—নিজের পরিশ্রমে আয় করেন, নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই ভাবতে পারছেন। ব্যক্তিজীবনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা আছে বলেই নিজেকে ‘রানি’ বলে ভাবতে ভালোবাসেন তিনি। কাজ, আত্মবিশ্বাস আর ব্যক্তিগত অর্জন—সব মিলিয়ে সাদিয়া নিজেকে তুলে ধরতে চান।

সাদিয়া আয়মান। ছবি: ফেসবুক থেকে

সাদিয়া বলেন, ‘আমি নিজের কাছে কুইন। সব সময়ই নিজেকে কুইন মনে করি। আর শুধু আমি না, প্রতিটি মেয়েই নিজেদের কুইন ভাবতে পছন্দ করে। আমি সেলফ ডিপেন্ডেন্ট একজন নারী। অভিনয়ই আমার পেশা। নিজের আয় দিয়ে নিজের খরচ নিজেই চালাই—চলাফেরা, শপিং, ঘোরা—সব করি নিজের মতো করে। তাই আমি নিজেকে কুইন বলি। আমার মনে হয় প্রতিটি মেয়েই সমাজে স্বাধীনভাবে নিজেদের দেখতে চায়।’

শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে নিজের মতো সময় কাটানোর সুযোগ খুব একটা মেলে না সাদিয়ার। এতে অনেক সময় কাছের বন্ধুদেরও মন খারাপ হয়। সম্প্রতি ব্যস্ততার মাঝে কিছুটা সময় বের করে ঘুরে এসেছেন কক্সবাজার থেকে। সেই ভ্রমণের নাম তিনি দিয়েছেন—‘কুইন রিট্রিট’।

সাদিয়া আয়মান। ছবি: ফেসবুক থেকে

এ বিষয়ে সাদিয়া বলেন, ‘টানা কাজের পর একটা ব্রেক দরকার হয়। নিজের মতো সময় কাটাতে ভালো লাগে। বন্ধুরা আড্ডা দিতে চাইলেও সময় হয়ে ওঠে না। দীর্ঘদিন ধরে আমার স্কুল-বন্ধু নাজিয়া বিনতে আশরাফের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম। সে–ও চাকরি করে, আত্মনির্ভরশীল। সে–ও নিজেকে রানি ভাবে।’
সময় মিলতেই দুজন বেরিয়ে পড়েন। ‘স্বাধীনভাবে ঘুরতে যাওয়া সত্যি দারুণ লাগে,’ জানান সাদিয়া।

আরও পড়ুন
সাদিয়া আয়মান। ছবি: ফেসবুক থেকে

‘নিজেদের মতো থাকা যায়। যেহেতু দুজনই নিজেদের কুইন ভাবি, তাই আমাদের ট্যুরের নাম রেখেছিলাম “কুইন রিট্রিট”। এটা আসলে নিজেকে নিজেই দেওয়া একটা বিশেষ ট্রিট। সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য আরও কমে যাক—এই প্রত্যাশাই করি। নারীও আত্মনির্ভর হয়ে উঠুক, নারী হয়ে সেই স্বপ্নটাই দেখি।’  

এ বছর ‘দেরি করে আসবেন’, ‘খুঁজি তোকে’, ‘মেঘ বৃষ্টি রোদ্দুর’, ‘প্লিজ গো’ নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সাদিয়া আয়মান। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘উৎসব’ দিয়ে।

সাদিয়া আয়মান। ছবি: ফেসবুক থেকে