‘মেট্রোরেলের দিনটি জীবনের অন্যতম একটি স্মৃতি হয়ে রইল’
অনেকের মতো অভিনেতা আবদুন নুর সজলের কাছে মেট্রোরেল এক স্বপ্ন আর আবেগের নাম। মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকে মেট্রোরেলে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন এই তারকা। নতুন বছরে সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন। মেট্রোরেলের যাত্রীদের সঙ্গে ভাসলেন আবেগে। দেখলেন, নতুন এক ঢাকা শহরের যোগাযোগব্যবস্থা।
সজল বলেন, ‘মেট্রোরেলের এই সংযোজন আমাদের জীবনের অন্য রকম সুখের স্মৃতি। বছরের প্রথম দিনটি জীবনের অন্যতম একটি স্মৃতি হয়ে রইল। নতুন বছরে এর চেয়ে বেশি আনন্দ অন্য কিছু হতে পারে না।’ এ সময় সজল আরও বলেন, ‘এখনো আমরা যুক্তরাষ্ট্রে বা উন্নত দেশগুলোতে গেলে মেট্রোরেলে ঘুরি। খুব সহজেই এক জায়গা থেকে আরেকটি জায়গায় যাই। ভ্রমণটাও হয় অনেক আনন্দের। তাঁদের কাছে মেট্রোরেল সাধারণ বিষয় হলেও আমাদের কাছে ছিল স্বপ্নছোঁয়ার মতো। ঢাকায় বসে উন্নত শহরের মতো যোগাযোগ এত সহজ হবে ভাবিনি।’
সজল জানান, তিনি ভেবেছিলেন, আগারগাঁও থেকে উত্তরায় নেমে যাবেন। কিন্তু ভ্রমণটা আনন্দদায়ক হওয়ায় উত্তরার দিয়াবাড়ি প্ল্যাটফর্ম থেকে আবার আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে চড়ে বসেন। সজল বলেন, ‘ট্রেনের মধ্যেই বসে ভাবছিলাম, আমাদের মেট্রোরেলের সকল সুযোগ-সুবিধা অন্য দেশের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। নিরাপত্তা, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা, ভেতরের পরিবেশ, টিকিটিং—সবই অসাধারণ। আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করি, তারা জানি, কীভাবে জ্যাম ঠেলে ধানমন্ডি থেকে উত্তরায় আসতে হয়। এই দিয়াবাড়ি প্ল্যাটফর্মের পাশে আমাদের নিয়মিত শুটিং হয়। এখন উত্তরার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ দ্রুত হবে। শুধু তা–ই নয়, এই উন্নয়নে আমরা নিজেদেরও কাজে লাগাতে চাই। এখন প্রতিদিনের কাজগুলো আরও সহজে আরও বেশি সংখ্যায় করতে চাই।’
মেট্রোরেলের এই ভ্রমণ নিয়ে ভক্তদের জন্য একটি ভিডিও বানিয়েছেন। কীভাবে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করা যাবে, সেটা বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। সজল বলেন, ‘এখন আমাদের নিজেদের দায়িত্ব শহরের নতুন সংযোজনকে সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা। সেটা কীভাবে সম্ভব, সেটাই ভিডিওতে তুলে ধরেছি। শুনছি, ট্রেনে চড়ে অনেকেই কিছু লেখার চেষ্টা করেছেন, অনেকেই ভেতরে পোস্টার লাগাচ্ছেন। আমি এগুলোর পক্ষে নই। আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে দেশের প্রতিটি জিনিসকেই একান্ত আপন মনে হবে।’
নতুন বছরের প্রথম দিন শুটিংয়ে বিরতি দিয়েছেন। আজ থেকে আবার শুটিংয়ে ফিরেছেন। মাতিয়া বানু শুকুর লেখা ‘আঁচল’ নামের একটি নাটকে আশনা হাবীব ভাবনার সঙ্গে জুটি হয়েছেন। নাটকটি পরিচালনা করেছেন রবিউল শিকদার।