সত্য বলতে আমরা দুজনই খুবই ভালো বন্ধু, ভাই–বোনের মতো
ফেসবুকে কোনো ছবি পোস্ট করলেই ছড়িয়ে পড়ে। এটা বেশ উপভোগ করেন সাদিয়া আয়মান। দুই হাত দিয়ে ভালোবাসার চিহ্ন বানানো একটি ছবি নিয়ে সম্প্রতি ভক্তদের মধ্যে নানা গুঞ্জন। কারও প্রশ্ন, ‘এই ভালোবাসা কার জন্য?’ কেউ লিখেছেন, ‘সাদিয়া আয়মান কি প্রেমে পড়লেন?’
সাদিয়া আয়মান কী বলেন? ‘হাত দিয়ে লাভ সাইন করা ছবিটি ভক্তরা অনেকেই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এটা আমার সিগনেচার পোজ। কোথাও গেলে বা কোনো ছবি তুললে ভালোবাসার সাইনের এমন একটি ছবি অবশ্যই তুলি। এই ভালোবাসা মূলত আমার ভক্তদের জন্য। এই চিহ্ন দিয়ে এটাই বোঝাই, তাদের আমি অনেক ভালোবাসি,’ বললেন সাদিয়া আয়মান।
তবে এবার ভালোবাসাটা অনেক বেশি, বললেন উৎসব অভিনেত্রী। কারণ, সম্প্রতি তাঁর ফেসবুকে অনুসারী সংখ্যা ১০ লাখ পার হয়েছে। সাদিয়া বলেন, ‘ভক্তদের এই ভালোবাসা আমার কাছে খুবই মূল্যবান। সব সময় আমার কাছে ভক্তদের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। তারা আমার কাজ দেখে প্রশংসা করে, সমালোচনা করে। বুঝতে পারি কোথায় আমার অবস্থান, কী করতে হবে। তাদের জন্যই আজ আমি এত দূরে আসতে পেরেছি। তাদের জন্যই আমি সাদিয়া আয়মান। এই ভালোবাসা সব সময় ছিল, আছে, থাকবে।’
তারকাদের প্রেম–ভালোবাসা বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জন। সাদিয়া আয়মান এগুলো বেশ উপভোগ করেন। সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য ছিল উৎসব সিনেমার পরে সহশিল্পীর সঙ্গে বিয়ের গুঞ্জন। হেসে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আগে কিন্তু বিয়ের গুঞ্জন তেমন শুনিনি। তবে উৎসব সিনেমার পরে অনেকেই মনে করেছিল আমরা বিয়ে করেছি। কারা গুজব ছড়ায় জানি না। আমি এখনো বিয়ে করিনি।’
উৎসব–এ সৌম্য জ্যোতির সঙ্গে সাদিয়া আয়মানের জুটি প্রশংসিত হয়েছে। পরে একাধিক সাক্ষাৎকারেও একসঙ্গে উপস্থিত হন তাঁরা। সাদিয়ার ধারণা, একসঙ্গে তাদের সাক্ষাৎকারে দেখেই ভক্তরা ধরে নেয়, জাহাঙ্গীর আর জেসমিন সত্যই বিয়ে করেছে। এটা আমরা দুজনই খুব উপভোগ করতাম। সত্য বলতে আমরা দুজনই খুবই ভালো বন্ধু, ভাই–বোনের মতো।’
সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘আমাকে নিয়ে গুঞ্জন খুবই কম থাকে। নেগেটিভ কথাও কম হয়। আমাকে ভক্তরা আপন ভাবে, এটা ভালো লাগে। আমাকে আপসেট করবে, এমন কিছুই কখনো তারা বলে না। আর কোনো কাজ নিয়ে যখন দর্শক নানা কথা বলেন, তখন মনে হয় এটাই শিল্পী হিসেবে সার্থকতা।’
সাদিয়া আয়মান শাড়ি পরা শুটিংয়ের ছবি বা সাধারণ কোনো ছবি পোস্ট করলেও ভক্তরা এখন নানা রকম মন্তব্য করছেন। কেউ লিখছেন, ‘জাহাঙ্গীর আপনাকে ভালোবাসত, তাকে ছেড়ে আসা ঠিক হয়নি।’ কেউ মন্তব্য করছেন, ‘জাহাঙ্গীরকে মাফ করে দিলে কী হতো।’ ‘একটি সিনেমার চরিত্র নিয়ে এই মন্তব্যগুলো খুবই মজা লাগে,’ বলেন সাদিয়া।
ঈদুল আজহায় উৎসব দিয়েই বেশি আলোচনায় আসেন সাদিয়া আয়মান। পাশাপাশি প্রশংসিত হয়েছেন মেঘ বৃষ্টি রোদ্দুর, মন মানে না নাটকগুলোতে অভিনয় করে। এগুলো ট্রেন্ডিংয়ে ছিল। নাটকের সহশিল্পী ছিলেন অপূর্ব, মুশফিক ফারহান। এই নাটকগুলো বেশ আগে শুটিং করা। এ বছর বেশির ভাগ সময় সিনেমা ও ওয়েবের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন সাদিয়া। জানালেন, দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় পরে নাটকের শুটিংয়ে ফিরেছেন। শেষ করেছেন তৌসিফ মাহবুব, ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে শুটিং।
সোমবার থেকে থেকে ইয়াশ রোহানের সঙ্গে নতুন নাটকের শুটিং। প্রায় দেড় বছর পরে একসঙ্গে অভিনয় করছেন এই জুটি। সর্বশেষ তাঁদের মিজানুর রহমান আরিয়ানের ফুল হাতা শার্ট–এ দেখা গিয়েছিল। নাটকটি প্রশংসিত হয়েছিল। সাদিয়া বলেন, ‘আমাদের জুটির আগের নাটক দর্শক পছন্দ করেছিল। গত বছর কোরবানি ঈদের আগে শুটিং হয়। প্রচার হয় বেশ পরে। অনেক দিন পরে আমরা একসঙ্গে শুটিং করব। আশা করছি, এবারের নাটকটিও দর্শক পছন্দ করবেন।’