এ কেমন বিদায় রুমি ভাই!

অভিনেতা অলিউল হক রুমিফেসবুক থেকে

‘রুমি ভাই শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন। আমার জন্মদিনের প্রথম যে ফোনটি আসত সেটা আপনার ফোন; সেই কলটি আর আসবে না। সাব্বিরের সঙ্গে অভিমান কে করবে রুমি ভাই? ক্ষমা করবেন ভাই।’
টিভি নাটকের জনপ্রিয় মুখ অলিউল হক রুমির সঙ্গে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।

রুমির সঙ্গে তোলা ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ফারজানা চুমকি
ছবি: ফেসবুক থেকে

ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার মাসখানেকের ব্যবধানে আজ সোমবার ভোরে মারা গেছেন অভিনেতা রুমি। রুমির মৃত্যুর খবরে নাট্যাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
টিভি নাটকের সহশিল্পীদের অনেকে রুমিকে নিয়ে ফেসবুকে স্মৃতিচারণা করছেন। জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম একটু সুস্থ্ হয়ে ওঠেন, আপনাকে দেখতে যাব। আর দেখা হলো না। এ কেমন বিদায় রুমি ভাই। নিয়তির কাছে সকলেই হার মানে, মানতে হয়। তবে আপনি একটু তাড়াতাড়িই চলে গেলেন। অন্যলোকে শান্তিতে থাকুন রুমি ভাই। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’
আরেক অভিনেতা আরিফিন শুভ লিখেছেন, ‘রুমি ভাই, আপনি বেঁচে থাকবেন আমাদের হৃদয়ে, মনে, প্রাণে।’

রুমির সঙ্গে তোলা ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন শামীমা তুষ্টি
ছবি: ফেসবুক থেকে

রুমির সঙ্গে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে দিয়ে অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি লিখেছেন, ‘রুমি ভাই, এই চলে যাওয়ার প্রশ্নের কোনো উত্তর নাই। ভালো থেকো ভাই ওপারে।’
অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী লিখেছেন, ‘রুমি ভাই বিদায়। আমার পরিচালনায় প্রথম ধারাবাহিক “সেলাই পরিবার” নাটকের সময়টা মনে হচ্ছে খুব। আল্লাহ আপনাকে বেহেশত নসিব করুন।’
রুমির মৃত্যুতে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আনিসুর রহমান মিলন, রাশেদ মামুন অপুসহ আরও অনেকে সামাজিক মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন।
১৯৮৮ সালে রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর।

বর্তমানে তাঁর অভিনীত ‘বকুলপুর’ নামের একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক দীপ্ত টিভিতে প্রচার হচ্ছে। টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন রুমি।
বরগুনায় জন্ম রুমি বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় বেশি অভিনয় করে আসছিলেন। এ ভাষাতেই তিনি দর্শকদের হাসিয়েছেন, কাঁদিয়েছেনও।

আরও পড়ুন

তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক। মা হামিদা হক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন রুমি। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের গ্রাফিক্স বিভাগে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।