৪৫ দিন পর শুটিংয়ে ফিরলেন রনি

প্রায় দেড় মাস পর আবার নিজের জগতে ফিরলেন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান ও উপস্থাপক আবু হেনা রনি
বাংলা ভিশনের সৌজন্যে

প্রায় দেড় মাস পর আবার নিজের জগতে ফিরলেন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান ও উপস্থাপক আবু হেনা রনি। আজ সোমবার আবার শুটিং শুরু করেছেন। ফেরার জন্য মুখিয়ে ছিলেন এই অভিনেতা। তিনি জানালেন, এখন সুবিধামতো ও পরিস্থিতি বুঝে কিছু কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ, এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। বাসা থেকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে হয়।

বাংলাভিশনের নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘টক মিষ্টি ঝাল’ নিয়মিত উপস্থাপনা করতেন রনি। তাঁর দুর্ঘটনাজনিত অসুস্থতায় অনুষ্ঠানটির শুটিং বন্ধ ছিল। সোমবার শুটিংয়ে ফিরে খুশি রনি। অনুষ্ঠানে তাঁর অতিথি ছিলেন আঁখি আলমগীর ও গোলাম কিবরিয়া তানভীর। আবু হেনা রনি বলেন, ‘একজন শিল্পী কাজে ফেরার জন্য সব সময় মুখিয়ে থাকেন। দীর্ঘ দেড় মাস কাজের বাইরে থেকে এখনো প্রতিটা মুহূর্তে মনে হয়েছে, আবার কবে কাজে ফিরব। সৃষ্টিকর্তার রহমতে ও সবার দোয়ায় আমি এখন অনেকটা সুস্থ। আজ কাজে ফিরলাম। ভালো লাগছে। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য।’

অনুষ্ঠানে রনির অতিথি ছিলেন আঁখি আলমগীর
ছবি: সংগৃহীত

‘টক মিষ্টি ঝাল’ বাংলাভিশনে প্রচারিত হয় প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে। বাংলাভিশনের অনুষ্ঠানপ্রধান তারেক আখন্দ বলেন, ‘আবু হেনা রনির দুর্ঘটনার কথা শোনার পর আমরা সকলে মর্মাহত হয়েছিলাম। তাকে শুটিংয়ে ফিরে পেয়ে আমাদের ভালো লাগছে। শুরু থেকেই “টক মিষ্টি ঝাল” অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে এসেছে সে। অনুষ্ঠানটি সবার মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। আশা করছি এখন সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’

আবু হেনা রনি
ছবি: সংগৃহীত

গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনসে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরিত হয়। সেই ঘটনায় দগ্ধ হন আবু হেনা রনি। সেদিনের সেই ঘটনা প্রসঙ্গে রনি প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, ‘প্রায় ১০০ গ্যাস বেলুন ছিল। ওই বেলুনগুলো উড়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু ওড়েনি। পরে শুনেছিলাম, বেলুনে লোকাল গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি লোকালভাবে এগুলো বানানো হয়েছিল। যারা বেলুনগুলো বানিয়েছিল, তারা বলল, গ্যাস বেলুনগুলো যে উড়ছে না তার কারণ, এর সঙ্গে থাকা শুভ উদ্বোধন লেখা কাপড়টা ভারী। ওটা কেটে ফেলতে হবে। কাটার জন্য আশপাশে কিছুই ছিল না। পরে ম্যাচলাইটের আগুন দিয়ে কেটে ফেলতে গিয়ে গ্যাস বেলুনগুলো আগুনের উৎস পায়। মুহূর্তের মধ্যে সব বেলুনে বিস্ফোরণ ঘটে।’

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকার সময়ে রনি
ছবি: সংগৃহীত

বেলুনের বিস্ফোরণে ফুসফুসের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। সবার আগে সেটির চিকিৎসা হয়েছে। গলায় কিছুটা সমস্যা ছিল, এখন ঠিক হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।