‘অনেক দিন একসঙ্গে হয় না, চল একটা কাজ করি’

সোমবার থেকে পুবাইলে শুটিং শুরু হয়েছে নাটকটির

বাস্তব জীবনে দীর্ঘদিনের বন্ধু নাট্যকার মাসুম রেজা ও পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু। একজন লেখেন, অন্যজন পরিচালনা করেন। পর্দায় দুই বন্ধুর রসায়নও বেশ জনপ্রিয়। মাসুম রেজার লেখা ও সালাহউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় ‘রঙের মানুষ, ‘ভবের হাট’ কিংবা ‘ভিলেজ ইঞ্জিনিয়ার’ নাটকগুলোর মাধ্যমে দর্শকের কাছে সেই প্রমাণ দিয়েছেন তাঁরা দুজন। আছে এই জুটির এক ঘণ্টার অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক। সবশেষ মাসুম রেজার এক ঘণ্টার ‘কইন্যা’ নাটকটি পরিচালনা করেন লাভলু। তা–ও বছর চারেক আগে। দীর্ঘদিন পর ছয় পর্বের একটি ধারাবাহিক নিয়ে একসঙ্গে কাজ করছেন এই দুই বন্ধু। নাম ‘ঝড়ে বক পড়ে’। গত সোমবার থেকে পুবাইলে শুটিং শুরু হয়েছে নাটকটির।

মাসুম রেজা বলেন, ‘গত মাসের মাঝামাঝি লাভলু হঠাৎ ফোন করে বলে, “মাসুম একটি ঈদের ধারাবাহিক নাটক লিখে দিতে হবে।” আমি তখন অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম ব্যস্ততার কারণে লিখতে পারব না, সময় হবে না। পরে ভাবলাম, লাভলুর সঙ্গে অনেক দিন কাজ হয়নি। একটা কাজ অন্তত করি। লিখে ফেললাম।’

গ্রামীণ পটভূমিতে কমেডি ধাঁচের গল্পের নাটক এটি

এই নাট্যকার জানালেন গ্রামীণ পটভূমিতে কমেডি ধাঁচের গল্পের নাটক এটি। লাভলু এ ধরনের নাটক নির্মাণে বেশ পারদর্শী। তিনি বলেন, ‘আমার লেখা এ ধরনের অনেক নাটকই লাভলু দারুণ নির্মাণ করেছে। সেসব নাটক দর্শক গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছে। তা ছাড়া অভিনয়টা ভালো বোঝে লাভলু। সেটা শিল্পীদের মধ্য থেকে বের করে আনতে পারে।’

এদিকে সালাহউদ্দিন লাভলু জানান, মাসুম রেজা এখন মঞ্চের কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত। পাশাপাশি কিছু অনুদানের ছবির চিত্রনাট্যও লিখছেন তিনি। টেলিভিশন নাটকে তাঁর আগ্রহও কম। বলেন, ‘ও প্রায়ই বলে এখন নাকি টেলিভিশন নাটক লিখতে ভালো লাগে না। বললাম, অনেক দিন একসঙ্গে কাজ হয় না, চল একটা কাজ করি। এ কথা শুনে সে নাটকটি লিখে দিল।’

নাটকটির গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক জানান, এক গ্রামে দুই ফুটবলার বন্ধুর সঙ্গে একটি মেয়ের ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি। তিনি বলেন, ‘কমেডি ধাঁচের মধ্য দিয়ে গল্পটি এগিয়েছে। শুটিংয়ে বেশ মজাই পাচ্ছি। নিজের কাছে যেহেতু ভালো লাগছে, মনে হচ্ছে দর্শকের কাছেও উপভোগ্য হবে নাটকটি। মাসুমও চিত্রনাট্যটি ভালো লিখেছে।’

মাসুম রেজা ও সালাহউদ্দিন লাভলু

৮ এপ্রিল নাটকটির শুটিং শেষ হবে। এতে অভিনয় করছেন জুনাইয়েদ, পারভেজ, জয়রাজ, হিমি, সুষ্মি, হেলাল, মম আলী প্রমুখ। পরিচালক জানান, ধারাবাহিকটি ঈদুল ফিতরে একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হবে।