অভিনয়শিল্পীরা যখন উপস্থাপক

চঞ্চল চৌধুরী, পূর্ণিমা ও মোশাররফ করিম। ছবি: কোলাজ
চঞ্চল চৌধুরী, পূর্ণিমামোশাররফ করিম অভিনয়শিল্পী হিসেবে কেবল পরিচিত নন, জনপ্রিয়ও। তাঁদের তারকাখ্যাতি ও অভিনয়দক্ষতাকে ব্যতিক্রম উপায়ে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছিল প্রথম আলো। তারকাদের নিয়ে অনুষ্ঠান মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের বিভিন্ন বছরের আয়োজনে উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন এ তিন তারকা। প্রথম আলোর ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে সেই সময়ের স্মৃতিচারণা করলেন তাঁরা।
চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো

চঞ্চল চৌধুরী

উপস্থাপনার দায়িত্ব পেয়ে অনুষ্ঠান সফল করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতেন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করার সময় একধরনের উন্মাদনা কাজ করত। আগের রাতে অনুশীলনে যেতাম, যাঁরা অংশগ্রহণ করতেন, তাঁদের সঙ্গে সময়গুলো ফুর্তিতে কাটত। একটা মিলনমেলা মনে হতো। আবার যখন অনুষ্ঠানের দিন মঞ্চে উঠতাম, তখন ভয়ে থাকতাম। কারণ, মঞ্চের সামনে দেশের অভিনয় এবং শিল্পমাধ্যমের গুণী মানুষেরা বসে থাকতেন। তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা চাট্টিখানি কথা নয়।’

পূর্ণিমা।
ছবি: ফেসবুক থেকে

পূর্ণিমা

ঢালিউড অভিনেত্রী পূর্ণিমার অভিনয়জীবনের পথচলা ও প্রথম আলোর বয়স প্রায় কাছাকাছি। পত্রিকাটির মাদকবিরোধী কনসার্ট, জিপিএ-৫ সংবর্ধনা, মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠানের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। পূর্ণিমা বলেন, ‘এই পত্রিকাটিকে আমি একা নই, আমার বিশ্বাস, সব তারকাই পাশে পেয়েছি। এই পত্রিকার যেকোনো আয়োজনে যুক্ত থাকতে পারলে ভালো লাগত। অপেক্ষায় থাকতাম, কবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানটি আসবে। কবে একটা পুরস্কার পাব। তবে এই অনুষ্ঠান মঞ্চে কখনো উপস্থাপনা করব, সেটা ভাবিনি।’ পূর্ণিমা জানান, মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পর তাঁর নবজন্ম হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের পর দেশের মানুষ আমাকে নতুন করে পেয়েছে। নতুন এক পরিচয়ে সবার সামনে আসতে পেরেছি।’

মোশাররফ করিম
সংগৃহীত

মোশাররফ করিম

যদিও মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের আয়োজনে চিত্রনাট্য অনুযায়ী অভিনয় করতে হয়েছে মোশাররফকে। তারপরও কিছুটা স্বাধীনতা তাঁর ছিল। স্বাধীনতা পেয়ে চিত্রনাট্যও নিজের মতো করে সাজিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া কাজে লাগিয়েছেন উপস্থিত বুদ্ধি। এসব কারণেই অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা তাঁর কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। মাসের ৩০ দিন ব্যস্ত এই অভিনেতাকে শুটিং বাতিল করতে হয়েছিল। এ ছাড়া নিজে নয়বার পেয়েছেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার। তিনি বলেন, ‘মেরিল-প্রথম আলো বড় পরিসরের চমৎকার একটি আয়োজন। অভিনয়শিল্পী হলেও আমি এ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা দারুণ উপভোগ করেছি। এই পুরস্কার আমার কাছে সেরা মনে হয়।’ উপস্থাপক হিসেবেও সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সব কাজই মনোযোগ দিয়ে করতে চাই। দর্শক আমার উপস্থাপনা ভালোবেসেছে, এটাই আমার প্রাপ্তি।’

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার আসরের উপস্থাপক ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।
ছবি: প্রথম আলো