আফজালকে পেয়ে আপ্লুত শান্তা
আফজাল হোসেনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি নাটক করেছেন শান্তা ইসলাম। তাঁর লেখা নাটকেও অভিনয় করেছেন এই শিল্পী। শান্তা ইসলাম এখন উপস্থাপনাতেই বেশি নিয়মিত। উপস্থাপনায় এরই মধ্যে পার করে দিয়েছেন ১৪ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে অতিথি হিসেবে অনেককে পেলেও আফজাল হোসেনই রয়ে গিয়েছিলেন অধরা। মনে মনে অনেকবার অতিথি হিসেবে চাইলেও পাওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত আফজাল হোসেনকে অতিথি হিসেবে পেলেন। তাই ভীষণ আবেগতাড়িত শান্তা ইসলাম।
শান্তা ইসলামের উপস্থাপনা ও পরিকল্পনায় আরটিভিতে প্রচারিত হয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। আগামী রোববার সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠানেই অতিথি হয়ে আসছেন আফজাল হোসেন।
শান্তা ইসলাম বলেন, ‘আমার শোতে আফজাল হোসেনকে পেয়েছি, এটা ভীষন আবেগ ও ভালো লাগার একটা বিষয়। আফজাল হোসেনের জীবনঘনিষ্ঠ উপলব্ধিতে উঠে এসেছে তাঁর জীবনের প্রিয় সব মুহূর্ত। ফোনে তাঁকে অতিথি হিসেবে পাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত হওয়ার পর ধন্যবাদ জানাতেই বললেন, “আসব শান্তা। তা ছাড়া অনেক দিন তোমার সঙ্গেও দেখা হয় না।” কথাটি আমাকে আবেগের বন্যায় ভাসিয়েছে। শুটিংয়ের সময় তো বারবার নস্টালজিক হয়েছি। দর্শকের সামনে অন্য রকম একজন আফজাল হোসেনকে তুলে ধরতে পেরেছি বলে আমার বিশ্বাস।’
শান্তা ইসলাম জানালেন, করোনার আগে তাঁর পরিচালনা ও উপস্থাপনায় আরটিভিতে প্রচারিত হচ্ছিল ‘ধ্রুপদি কাহিনি’ এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে ফ্যাশন ও বিউটি–সম্পর্কিত অনুষ্ঠান ‘অসাধারণ’। করোনার কারণে দুটি অনুষ্ঠানই পৃষ্ঠপোষকের জটিলতায় বন্ধ হয়ে যায়। সে হিসাবে দেড় বছর পর নির্মাণ ও উপস্থাপনা শুরু করলেন তিনি। শান্তা ইসলাম বলেন, ‘সবাই স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু স্বপ্নের পথটি ধরে সবাই হাঁটতে পারেন না। যে কজন পারেন, তাঁরা কেমন করেই–বা স্বপ্নের পথ পাড়ি দিতে পারেন; এমন ভাবনা নিয়ে স্বপ্নের পথে পাড়ি দেওয়া মানুষদের সাফল্যের গল্প আড্ডার মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। “লাইফ ইজ বিউটিফুল”-এর ট্যাগলাইন হলো সফলতার গল্প, ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।’
অভিনয়ে অনিয়মিত হওয়ার পর পরিচালনা শুরু করেন শান্তা ইসলাম। একসময় নাটক নির্মাণেও বিরতি নেন। প্রসঙ্গটি মনে করিয়ে দিতেই শান্তা ইসলাম বলেন, ‘তখন আমার একমাত্র ছেলে স্কুলের শিক্ষার্থী। নাটক বানিয়ে বা অভিনয়ের ব্যস্ততায় ছেলেকে ঠিকমতো সময় দিতে পারছিলাম না। তাই নাটক নির্মাণ ও অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিই। তখন টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য টক শো নির্মাণ শুরু করি। এতে করে নিজের সময়টাকে নিজের ইচ্ছেমতোই ব্যবহার করতে পারছি।’