আমি অতীত ভুলি না...

অভিনেতা ও নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলুর আজ জন্মদিন
ছবি : সংগৃহীত

অভিনেতা ও নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলুর আজ জন্মদিন। দিনটি ঘিরে নেই কোনো বাড়তি উচ্ছ্বাস। অফিসেই কাজ করে সময় কাটাবেন তিনি। এই অভিনেতা ও নির্মাতা বলেন, একদম সাধারণ অন্য দিনের মতোই দিনটি কাটাতে তাঁর ভালো লাগে। কোনো আয়োজন না থাকলেও দিনটি একটি বছর বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ এই দিনে অতীতের কথা ভেবেই খারাপ লাগে তাঁর। তাই ফিরে যান অতীতে।

সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘আমি বরাবরই পেছনে তাকানোর মানুষ। আমি অতীত ভুলি না। দিনটিতে অতীত আমাকে স্মৃতিকাতর করে দেয়। অনেক প্রশ্ন মনে জাগে। এখন খারাপ লাগে একটা কথাই ভেবে, ক্যারিয়ারের শুরুতে যেভাবে আমরা নাটককে ভালোবেসে কাজগুলো করতে পেরেছিলাম, যেভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলাম, তাঁদের ভালোবাসা পেয়েছিলাম, সেই ধরনের কাজ এখন আর করতে পারছি না। নাটক নিয়ে আমাদের আরও বেশি এগিয়ে যাওয়া কথা ছিল।’

এই অভিনেতা ও নির্মাতা বলেন, একদম সাধারণ অন্য দিনের মতোই দিনটি কাটাতে তাঁর ভালো লাগে। ছবি: সংগৃহীত

নির্মাণ একটি সমষ্টিগত কাজ। এখানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। সবার পরিশ্রম দরকার পড়ে। একা একজন নির্মাতা এখানে কিছুই করতে পারেন না উল্লেখ করে লাভলু বলেন, ‘অভিনয়শিল্পীসহ পুরো ইন্ডাস্ট্রির সবাই কেমন যেন হয়ে গেছে। ভালো কিছু করার জন্য যে উৎসাহ, সাধনা, উদ্দীপনা দরকার—এগুলো এখন আর নেই। আমাদের নির্মাতাদের একা কিছুই করা সম্ভব নয়। এখন সবার মধ্যে শিল্পের বোধের জায়গাটা কমে গেছে। সবকিছুতেই একটা তাড়াহুড়া থাকে। এটা খারাপ লাগে, ভালো কিছুই করতে পারছি না।’

একাধিক জনপ্রিয় নাটকের নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলু
ছবি: সংগৃহীত

‘সাকিন সারিসুরি’, ‘আলতা সুন্দরী’, ‘ঘরকুটুম’, ‘গরুচোর’, ‘ঢোলের বাদ্য’, ‘হাড়কিপটে’, ‘পত্রমিতালি’, ‘কবুলিয়তনামা’সহ একাধিক জনপ্রিয় নাটকের নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলু। এই নির্মাতার কাছে প্রশ্ন, আমাদের গুণী নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা রয়েছেন, তারপরও কেন তরুণদের মধ্যে বোধের জায়গা তৈরি হচ্ছে না। লাভলু বলেন, ‘একটা দেশে যে লেভেলের গুণী অভিনেতা থাকা উচিত, সেটা নেই। আমাদের গুণী অভিনেতাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। নতুন গুণী শিল্পী তৈরি হচ্ছে না। একটা সময় মঞ্চ নাটক বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে এসেও অনেকেই অভিনয়ে সফল হয়েছেন। তার কারণ ছিল তাঁরা শিখে গেছেন। তাঁরা শিল্পের সাধনা করেছেন। নতুন প্রজন্ম সেই জায়গা পাচ্ছে না। আবার শেখানোর মানুষ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তা ছাড়া শিল্পের সাধনার জন্য এখন অনেকেই আর সময় দিতে চান না। এগুলো ভাবলে খারাপ লাগে। এতে আমরা টেকসইভাবে কতটা এগিয়ে যেতে পারব, জানি না।’