ইফতার পার্টির টাকা দিয়ে আর্থিক সংকটে থাকা শিল্পীদের পাশে

অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইফতার পার্টির টাকা দিয়ে আর্থিক সংকটে থাকা শিল্পীদের পাশে থাকবেন
ছবি: সংগৃহীত

শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই আছেন অর্থনৈতিকভাবে টানাটানির মধ্যে থাকেন। অনেকেই আছেন কাজ নেই, কেউ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। কাউকে বছর ধরে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হয়। ঈদ সামনে রেখে এসব অভিনয়শিল্পীদের খরচ আরও বাড়ে। ইফতার পাটির অর্থ দিয়ে এসব অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে অভিনয় শিল্পী সংঘ।

অকালপ্রয়াত একজন অভিনয়শিল্পীর পাশে দাঁড়ান শিল্পীসংঘ
ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘ইফতার পার্টির মধ্যে দিয়ে অবশ্যই সামাজিক সম্পর্ক বাড়ে, অনেকের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরে দেখা হয়। সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে। ইফতার পার্টির অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইফতার পার্টি করব না। সেখানে যে অর্থ ব্যয় হতো, সেটা পুরোটাই দিয়ে আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, টানাটানির মধ্য থাকেন, এমন অনেককে সহায়তা করেছি। ইতিমধ্যে আমরা ৫টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। তা ছাড়া আমাদের একজন অভিনয়শিল্পীর অকালপ্রয়াণে আমরা মর্মাহত। আমরা তাঁর সন্তানদের লেখাপড়া ও ঈদ খরচ বাবদ অর্থসহায়তা দিয়েছি।’

শিল্পীসংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম
ছবি: সংগৃহীত

এই সময় আহসান হাবীব নাসিম আরও বলেন, ‘আমরা অনেক কিছুই জানিয়ে করি না। কিন্তু আমরা সব সময় শিল্পীদের পাশে থাকি। ২০ জনের মতো শিল্পী আছেন, যাঁদের হার্ট সার্জারি, অপারেশন, রোগ নির্ণয়সহ নানা সমস্যায় নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হয়। এ জন্য আমরা ইউনিভার্সাল ও ল্যাব এইড হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতালে কথা বলে সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছি। এমনকি আমাদের জানার বাইরে যেসব শিল্পী অর্থনৈতিক সংকটে আছেন, তাঁরা আমাদের জানালেই পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। আমাদের এই সহায়তা চলমান থাকবে। সঙ্গে প্রতি মাসে আমাদের অফিসে সবার চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা চলতেই থাকবে।’

শিল্পীসংঘের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রওনক হাসান
ছবি: ফেসবুক থেকে

নতুন আঙ্গিকে শিল্পী সমিতিকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন সংগঠনটির সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান পরিষদ। ঈদের পর তাঁরা সব অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে গেটটুগেদার করতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া নতুন আঙ্গিকে তাঁদের সংগঠনের লেগো উন্মোচন করতে যাচ্ছেন। নতুন এই লেগো ডিজাইন করছেন অভিনেতা আফজাল হোসেন।