এবার হবিগঞ্জে

একটি দেশাত্মবোধক গান দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছেন শিল্পী সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবীফাগুন অডিও ভিশনের সৌজন্যে

ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ এবার ৩৩ পেরিয়ে আগামী বছর ৩৪ বছরে যাত্রা করবে। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রাচীন নিদর্শন, আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র, জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থানে গিয়ে ‘ইত্যাদি’র বিভিন্ন পর্ব ধারণ করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক ডাকবাংলোর সামনে।

বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর পর্বটি প্রচার করা হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। ফাগুন অডিও ভিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ১১ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বাংলোর সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিতসংখ্যক দর্শক নিয়ে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে সব দর্শককেই ‘ইত্যাদি’র পক্ষ থেকে মাস্ক দেওয়া হয়। বাংলোর সঙ্গে মিল রেখে নির্মিত আলোকিত মঞ্চে ‘ইত্যাদি’র এই অনুষ্ঠান ধারণ চলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।

হবিগঞ্জের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পরিচিতিমূলক একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী
ফাগুন অডিও ভিশনের সৌজন্যে

হবিগঞ্জের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পরিচিতিমূলক একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ও ইবরার টিপুর সুরে একটি দেশাত্মবোধক গান দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছেন শিল্পী সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী। হবিগঞ্জের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পরিচিতিমূলক আরেকটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী।

গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন নাভেদ পারভেজ, কণ্ঠ দিয়েছেন রিয়াদ ও তানজিনা রুমা। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মনিরুল ইসলাম।

নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী এবং এই প্রজন্মের শিল্পী সৈয়দ আশিকুর রহমান
ফাগুন অডিও ভিশনের সৌজন্যে

এবারের ইত্যাদিতে হবিগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত তেলিয়াপাড়া চা–বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলো নিয়ে রয়েছে তিনটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। অনুষ্ঠানে ফরিদুল আলম নামের একজন প্রযুক্তিপ্রেমী ব্যবসায়ীকে দেখানো হবে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সাড়ে সাত বছরের বালক সামিউন আলিম সাদের ওপর রয়েছে একটি শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। যে শিশুটি মুঠোফোনের অপব্যবহার নয়, বরং এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। গত ২৯ অক্টোবর প্রচারিত ইত্যাদিতে সোনারগাঁয়ের আত্মপ্রত্যয়ী যুবক শাহেদ কায়েসকে তাঁর ‘বেদেবহর ভাসমান পাঠশালা’র ক্ষতিগ্রস্ত নৌকাটি মেরামতের জন্য এক লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছিল। এবারের পর্বে তাঁর ভাসমান পাঠশালার ওপর রয়েছে একটি ফলোআপ প্রতিবেদন।

গত ২৯ জানুয়ারি প্রচারিত ইত্যাদিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের পাখি প্রেমের ওপরও রয়েছে আরও একটি প্রতিবেদন। মানবতা ও বিবেকের চেতনা জাগ্রত থাকলে নিজে যেমন সফল হওয়া যায়, তেমনি সাফল্য আনা যায় অন্যের জীবনেও, এবারের অনুষ্ঠানে তেমন দুজন মানুষের ওপর রয়েছে একটি উদ্বুদ্ধকরণ মানবিক প্রতিবেদন। ইত্যাদিতেই প্রথম শুরু হয় বিদেশি প্রতিবেদন শিরোনামে বিশ্বের বিস্ময়কর বিষয় ও স্থানের ওপর প্রতিবেদন।

এবারও রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু নাট্যাংশ
ফাগুন অডিও ভিশনের সৌজন্যে

তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বে রয়েছে গ্রিসের প্রাচীন নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী অ্যাক্রোপোলিসের ওপর একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন। দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান হবিগঞ্জকে নিয়ে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে চারজন দর্শক নির্বাচন করা হয়।

দ্বিতীয় পর্ব সাজানো হয়েছে হবিগঞ্জের চারজন বিখ্যাত কবি ও সাধকের কিছু কালজয়ী গান নিয়ে। নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী এবং এই প্রজন্মের শিল্পী সৈয়দ আশিকুর রহমান।

‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত
ফাগুন অডিও ভিশনের সৌজন্যে

এ ছাড়া নিয়মিত পর্বসহ এবারও রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু নাট্যাংশ। বাজার করতে গিয়ে বেজার ক্রেতা, লোকদেখানো দান, মেলার নানান ধরন, পর্দার প্রেম বনাম বাস্তব প্রেম, চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার অমিল, প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে মুক্তি পেতে অবাক যুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ। এতে অংশ নিয়েছেন সোলায়মান খোকা, আফজাল শরীফ, জিল্লুর রহমান, কামাল বায়েজীদ, শবনম পারভীন, আমিন আজাদ, নিপু, আবু হেনা রনি, আনন্দ খালেদ, জামিল হোসেন প্রমুখ।