দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষার ফল হাতে পেয়েছেন তানজিন তিশা

দুই মাস ধরে বাসায় ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ তানজিন তিশা।

‘আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের সবার দোয়ায় আজ আমি কোভিড-১৯ রিপোর্ট হাতে পেয়েছি এবং এটি নেগেটিভ।’ ফেসবুকে এভাবেই নিজের করোনামুক্ত হওয়ার খবর দিলেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা।

ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন তানজিন তিশা। তিনি জানালেন, গতকাল বুধবার কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়েছেন। আজ ফলাফল হাতে পেয়ে জানতে পারেন, নেগেটিভ এসেছে।

তানজিন তিশা

তানজিন তিশা বললেন, ‘এমনিতে খুব বেশি উপসর্গ ছিল না। জ্বর, খাবারের স্বাদ না পাওয়া ছাড়া আর কোনো সমস্যা লাগেনি। হালকা একটু কাশি ছিল। শুরুর কয়েক দিনের চেয়ে শরীর কিছুটা ভালো অনুভব করায় চিকিৎসকের পরামর্শে দ্বিতীয়বার কোভিড-১৯ টেস্ট করাই। ফল নেগেটিভ হাতে পেয়ে স্বস্তি পেলাম।’

মডেল ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা তাঁর করোনায় আক্রান্তের খবর জানিয়েছিলেন ৫ অক্টোবর। ১১ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বার টেস্ট করান। করোনামুক্ত তিশা কবে শুটিংয়ে ফিরবেন জানতে চাইলে বললেন, ‘এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিই, এরপর ভাবব।’

তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত

জানা যায়, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের একটি ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ের সময় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে তিশার। পরে ওই নাটকের পরিচালক রাজ আর অভিনেতা তাহসান খানও করোনায় আক্রান্ত হন।

আরও পড়ুন

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন তানজিন তিশা। সে সময় তিশা বলেন, কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর দুদিন আগে থেকেই তানজিন তিশার জ্বর। স্বাদ-ঘ্রাণ পাচ্ছিলেন না। এদিকে হাতে তাঁর বেশ কয়েকটি কাজ। লক্ষণে করোনা সন্দেহ হওয়ায় ভেবেছেন পরিবার ও সহকর্মীদের কথা। নিজ উদ্যোগে হাসপাতালে গিয়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তিনি।

তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত

তানজিন তিশা বলেন, ‘একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া আমার দায়িত্ব। সেটা ভেবে যখনই জ্বরে আক্রান্ত হই এবং কোনো খাবারের স্বাদ পাচ্ছিলাম না, মনে মনে ভাবলাম, এটা হয়তো করোনারই লক্ষণ।’ তিশা তখন বলেন, ‘আমি যেহেতু নিয়মিত কাজ করছি এবং সামনে অনেকগুলো কাজের ব্যাপারে কথাবার্তাও চূড়ান্ত হয়ে আছে, তাই হয়তো অনেকের সংস্পর্শে যেতে হবে। শুটিং করলে আমার সংস্পর্শেও অনেকে আসবেন। তাই ভাবলাম, কাজ শুরু করার আগে আমার নিজের, পরিবারের এবং সহকর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কোভিড-১৯ টেস্ট করানো দরকার। উপসর্গ নিয়ে নিজে থেকেই দ্রুত ছুটে যাই হাসপাতালে, পরীক্ষা করাই। এরপর জানতে পারি, আমি করোনায় আক্রান্ত। বাসার সবাইকে জানিয়ে আমি হাসপাতাল থেকে ফিরে আইসোলেশনে চলে যাই।’