কেন্দ্রে গিয়ে দেখলাম খুব সুন্দর পরিবেশ, টিকা নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী

রোববার দুপুরে আজিমপুর মাতৃসদন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী

করোনার টিকা নিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। শনিবার নিবন্ধন করেছিলেন। আজ রোববার দুপুরে আজিমপুর মাতৃসদন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেন তিনি। চঞ্চল জানান, টিকা নেওয়ার পরে মানসিক শক্তি তৈরি হয়েছে। বিশ্বের বড় বড় দেশ যেখানে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খেয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত দ্রুত টিকা পাওয়া একটা বড় অর্জন।

চঞ্চল চৌধুরী
সাবিনা ইয়াসমিন

টিকা দেওয়ার পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে গিয়ে দেখলাম খুব সুন্দর পরিবেশ। খুব সহজভাবে, সুশৃঙ্খলতার মধ্য দিয়ে সবাই টিকা নিচ্ছেন।পরিবেশটা খুব ভালো লাগল। আয়োজনটি বেশ চমৎকার।’
চঞ্চল জানান, এত বড় মহামারির পরে যেন একটি উৎসবের মধ্য দিয়ে টিকা প্রদান চলছে। হাসতে হাসতে সবাই কেন্দ্রে আসছেন, টিকা দিচ্ছেন, সবাই ছবি তুলছেন। যেন একটা উৎসবের আমেজ।

এক বছরের মধ্যেই টিকা দিতে পারবেন, এমনটি বিশ্বাস হয়নি চঞ্চলের। তিনি বলেন, ‘অতীতে মহামারির টিকা আসতে অনেক বছর লেগেছে। অথচ এই করোনার টিকা এক বছরের মধ্যেই চলে এল। সবার জন্য এটি আনন্দের ব্যাপার।’

চঞ্চল চৌধুরী

এদিকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকের শুটিং করে ৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বাই থেকে দেশে ফিরেছেন চঞ্চল চৌধুরী। সেখানে বঙ্গবন্ধুর বাবার ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের চরিত্রটি করছেন তিনি। প্রথম ধাপে ২১ জানুয়ারি থেকে টানা ৯ দিন কাজ করেছেন তিনি। চমৎকার শুটিং হয়েছে বলে জানান। চঞ্চল বলেন, ‘প্রকল্পটির কারিগরি দিক দারুণ। তাঁরা সবাই পেশাদার। আমি ৯ দিন কাজ করলাম। অন্য রকমের একটি অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে শুটিং করেছি।’

কেমন হলো শুটিং? জানতে চাইলে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি। এটি পেশাদার কাজ না, আবেগী কাজ। এই কাজটির মধ্য দিয়ে ইতিহাসের একটি অংশ হয়ে থাকা হলো। সেই ভাবনা থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অভিনয় করেছি। তৃপ্তি পেয়েছি।’

একটি নাটকের দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

এত বড় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র করার আগে কোনো ভয় কিংবা সংকোচ ছিল কি না জানতে চাইলে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘না। আমরা নিয়মিত কাজ করি। যেকোনো চরিত্রই চ্যালেঞ্জ নিয়ে রূপায়ণ করি। ডাক্তার যদি রোগী দেখে ভয় পান, তাহলে কেমনে হবে।’
চঞ্চল জানান, মুম্বাই অংশে তাঁর কাজ শেষ। এখন বাংলাদেশ অংশের কাজ বাকি থাকল। এখনো মুম্বাইতে ছবির অন্য শিল্পীদের শুটিং চলছে। আরও প্রায় দুই মাস চলবে। এরপর বাংলাদেশের অংশের শুটিং শুরু হবে ছবিটির। ছবিটি পরিচালনা করছেন শ্যাম বেনেগাল।