গাঁওগেরামের পাঁচ কন্যার গান

গাঁওগেরামের পাঁচ শিল্পী হচ্ছেন জান্নাতুল ফেরদৌস, শান্তনা আক্তার, সাথী আক্তার, শ্রেয়া রেশমী ও পিংকী বিথীসংগৃহীত

গাঁওগেরাম একটি লোকগানের দল । এর সব গান মৌলিক। এতে গান করেন পাঁচজন মেয়ে। তাঁদের প্রত্যেকেই কণ্ঠশিল্পী। দেশে একজন মেয়ে শিল্পীর নেতৃত্বে চলে, এমন গানের দল পাওয়া যায় কিন্তু পাঁচজন মেয়ের এমন দল হয়তো পাওয়া যাবে না, এমন দাবি এই পাঁচ কন্যার। তাঁরা রাজশাহী থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি মৌলিক গান গাঁওগেরাম নামের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন। গানগুলো ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

গাঁওগেরাম লোকগানের দলের সদস্যরা
সংগৃহীত

গাঁওগেরামের এই পাঁচ শিল্পী হচ্ছেন জান্নাতুল ফেরদৌস, শান্তনা আক্তার, সাথী আক্তার, শ্রেয়া রেশমী ও পিংকী বিথী। এই পাঁচ নিয়ে গাঁওগেরাম। গাঁওগেরামে ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে শান্তনা আক্তারের চারটি, জান্নাতুল ফেরদৌস বেবীর চারটি, সাথী আক্তারের তিনটি, শ্রেয়া রেশমীর দুটি এবং পিংকী বিথীর দুটি গান। এর বাইরে দুটো বিশেষ গান প্রকাশ করেছে গাঁওগেরাম।

তাঁদের মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি জয়পুরহাট সদরে। শান্তনা আক্তার জয়পুরহাট সরকারি কলেজে সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায়। সাথী আক্তার রাজশাহীর নওহাটা ডিগ্রি কলেজে স্নাতক পড়ছেন। থাকেন রাজশাহী শহরে। শ্রেয়া রেশমী এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বাড়ি নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলায়। পিংকী বিথী রাজশাহীর আটকোষী উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। বাড়ি রাজশাহী নগরের মালদা কলোনি এলাকায়। বাড়ি বিভিন্ন জায়গায় হলেও তাঁদের সব কটি গানের রেকর্ডিং ও চিত্রায়ণ হয় রাজশাহীতে।

গাঁওগেরামের গানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি গানেই পাঁচজনের কণ্ঠ থাকে।
সংগৃহীত

গাঁওগেরামের গানের বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো, তাদের প্রতিটি গানেই পাঁচজনের কণ্ঠ থাকে। একজন মূল শিল্পী থাকলেও কোরাস হিসেবে একটি লাইনে সবাই গলা মেলান। নিজেরাই অংশ নেন গানের চিত্রায়ণে। সবার রয়েছে একই রকম পোশাক।

বর্তমানে প্রকাশের জন্য প্রস্তুত রয়েছে তাঁদের আটটি গান। চলছে আরও ১০টি গানের সংগীতায়োজনের কাজ।