গোপনে শুটিং, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিলেন নেতারা

‘কোরবানির বিরাট হাট’ নাটকটি ঈদের আগে শুটিং করা। এবারের ঈদুল আযহায় প্রচার হয়েছে। একটি দৃশ্যে মীর সাব্বির ও রাশেদ মামুন অপু
ফাইল ছবি

করোনা নিয়ন্ত্রণে ১৪ দিনের কঠোরতম বিধিনিষেধের পটভূমিতে ছোট পর্দার সব শুটিং বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। তাদের ঘোষণায় ছিল, ২৩ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছোট পর্দার সব শুটিং স্থগিত। এরপর থেকে শুটিংয়ে ফিরতে পারবেন ছোট পর্দার কলাকুশলীরা। কিন্তু জানা গেছে, গাজীপুর ও উত্তরায় দু-একটি শুটিংবাড়িতে ২৮ জুলাই থেকে শুটিং হচ্ছে।

আহসান হাবীব নাসিম
ছবি: সংগৃহীত

যোগাযোগ করা হলে বুধবার রাতে এ প্রসঙ্গে অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘আমরা শুনেছি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে শুটিংবাড়িগুলোতে কিছু বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও টিমের নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলী গোপনে শুটিং করছেন। এই ব্যাপারে আমাদের কাছে সঠিক তথ্য নেই। কারা, কীভাবে শুটিং করছেন, সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার আমরা খোঁজখবর নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেব। দেশের এমন পরিস্থিতিতে সবার উচিত নিয়ম মেনে চলা।’

২৯ জুলাই উত্তরার একটি শুটিংবাড়ির মালিক সরকারি কাজে শুটিংবাড়ি বুকিং দেওয়া যাবে কি না, জানতে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলুকে ফোন করেছিলেন। তখন তিনি বলেন, ‘করোনা–সম্পর্কিত সরকারি কোনো কাজ নিশ্চিত হলে শুটিং করতে পারবেন। তা ছাড়া অন্য সব শুটিং বন্ধ। করোনার এই সময়ে আমরা নীতিগতভাবেই শুটিং করে শিল্পী–কলাকুশলীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাই না।’

সালাউদ্দিন লাভলু
ছবি: সংগৃহীত

পুবাইলে কিছু শুটিংবাড়ির মালিক ও ম্যানেজার এখনো জানেন না, কবে থেকে শুটিং করা যাবে। বিলবিলাই শুটিং বাড়ির ম্যানেজার খোকন হোসেন বলেন, ‘শুটিং নিয়ে কোনো দিকনির্দেশনা ঈদের পর পাই নাই। এখনো পুবাইলে কোনো শুটিং হচ্ছে কি না, জানি না। তবে ৩০ জুলাইয়ে একজন শুটিংয়ের কথা বলেছিলেন। এখন বিধিনিষেধে শুটিংয়ের পারমিশন না থাকলে তো বুকিং দেওয়া যাবে না। আমরাই বিপদে পড়ব।’ তবে নাম গোপন রাখার শর্তে একটি শুটিংবাড়ির মালিক জানান, সচেতনতামূলক ভিডিওর কথা বলে স্বল্প পরিসরে একটি টিম মিউজিক ভিডিওর শুটিং করার চেষ্টা করেছিল। পরে আর করেছেন কি না, তিনি জানেন না। এই শুটিংবাড়ির মালিক বলেন, ‘পুলিশ এসে কড়া নিষেধ করে গেছে, শুটিং করলে বিপদে পড়ব।’

২২ জুলাই এফটিপিও সভাপতি মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ঈদের আগে কঠোর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও বিশেষ বিবেচনায় সরকার শুটিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। এখন ঈদ অনুষ্ঠান নির্মাণ শেষ। আপাতত আর কোনো শুটিং করা যাবে না।

এফটিপিও সভাপতি মামুনুর রশীদ
ছবি: সংগৃহীত