ফেসবুক নিয়ে বিব্রত ফারিণ

হ্যাক হয়ে গেছে ফারিণের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ফ্যান পেজ। কাজের ব্যস্ততায় ইদানীং ফেসবুক ব্যবহার করছেন না ফারিণ। তবে তাঁর নিজের একটি ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে তাঁর অনুসারী মাত্র কয়েক হাজার। আর বেহাত হয়ে যাওয়া পেজটিতে আছে ৩ লাখের বেশি অনুসারী।

তাসনিয়া ফারিণসংগৃহীত

ফেসবুক নিয়ে যন্ত্রণায় আছেন টেলিভিশনের তরুণ তারকা তাসনিয়া ফারিণ। প্রতিদিনই তাঁর নামে তৈরি হচ্ছে একের পর এক ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। সেখানেই থেমে নেই ভুয়া অ্যাকাউন্টধারীরা। সম্প্রতি এই অভিনেত্রীর নামে তৈরি একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইডের জন্য আবেদনও করা হয়েছে!

গত বছর থেকে হঠাৎ বদলে যায় তাসনিয়া ফারিণের ক্যারিয়ার। পর্দায় উপস্থিতি বাড়ার পাশাপাশি ফেসবুকে তাঁর নামে তৈরি হতে থাকে একের পর এক ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও ফ্যান পেজ। সেসব পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিত ফারিণের কাজের প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে ফারিণকে। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘গত বছর রোজার ঈদের পর আমার বেশ কিছু নাটক দর্শকের ভালো লাগে। সেই থেকে আমার ফেসবুক পেজ এবং আইডিতে ফ্রেন্ড এবং ফলোয়ার বাড়তে থাকে। তখন আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। পরে ফ্যান পেজটিও বেহাত হয়ে যায়, যেটা এখনো আমি ফিরে পাইনি। এদিকে আমি কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় ফেসবুকে অনিয়মিত হয়ে পড়ি। এই সুযোগে একটা গ্রুপ আমার নামে একাধিক আইডি খুলে ব্যবহার করছে। দিন দিন ফেসবুকে আমাকে নিয়ে মানুষ কনফিউজড হয়ে যাচ্ছে।’

এখনো লেখাপড়া করছেন তাসনিয়া ফারিণ
সংগৃহীত

ফেসবুকে তাসনিয়া ফারিণের নামে রয়েছে বহু আইডি। এর মধ্যে ১০টি আইডির অনুসারী এক লাখের বেশি, ৪টি আইডিতে দুই লাখের বেশি। দুই লাখের বেশি অনুসারী যুক্ত এ রকম দুটি আইডি থেকে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন শেয়ার করতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্যই ওই পেজগুলো তৈরি করা হয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা আমিও দেখেছি। অনেকেই আমার নামে আইডি বানিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রমোশন করছে। তারা ইচ্ছামতো এটা-ওটা শেয়ার করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাকে সামাজিকভাবে ছোট হতে হচ্ছে।’ ফারিণ জানান, তাঁর হ্যাক হওয়া আইডিতে ৩ লাখের বেশি অনুসারী যুক্ত ছিলেন।

সম্প্রতি ফেসবুক পেজের কারণে আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে ফোন পেয়েছেন ফারিণ। তিনি বলেন, ‘গতকাল শুটিং করছিলাম, এমন সময় একটি ফোন আসে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের পরিচয় দিয়ে একটি ফেসবুক পেজের বর্ণনা দিয়ে জানতে চান, সেটা আমার পেজ কি না। সঙ্গে সঙ্গে বলেছি যে সেটা আমার নয়। তখনই বুঝতে পারি যে কেউ আমার নামে ফেক আইডি ব্যবহার করছে।’ শুধু তা–ই নয়, তাঁর নামের একটি আইডি থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে, যেন তাঁর নামের সব পেজ মুছে দেওয়া হয়। ‘ভুয়া ফেসবুক নিয়ে বেশ কিছুদিন খুব ঝামেলায় আছি। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বিপদে পড়ছি। এই ভুয়া ফেসবুক আইডিগুলো আমাকে খুব জ্বালাচ্ছে। আমার পেজটা ভেরিফাই করা এখন জরুরি হয়ে গেছে’, বলেন ফারিণ।

তাসনিয়া ফারিণ
সংগৃহীত

কাজের ব্যস্ততায় ইদানীং ফেসবুক ব্যবহার করছেন না ফারিণ। তবে তাঁর নিজের একটি ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে তাঁর অনুসারী মাত্র কয়েক হাজার। ব্যস্ততার কারণে ভুয়া আইডিগুলো বন্ধ করানোর ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। সেসব আইডি থেকে যদি কোনো অপরাধমূলক পোস্ট দেওয়া হয়, তাহলে কী করবেন? এমন প্রশ্নে ফারিণ বলেন, ‘গত বছর আমার ফেসবুক পেজ হ্যাক হওয়ার পর থানায় জিডি করে রেখেছি। কখন কোন বিপদ হয়, বলা তো যায় না। কোনো ঝামেলা হলে যেন আমার কোনো দোষ না থাকে, এ জন্য জিডি করেছি।’

২০১৬ সালে বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন তাসনিয়া ফারিণ। পরের বছর প্রথম অভিনয় করেন নাটকে। মধ্যে এক বছর তিনি অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে নিয়মিত নাটক নিয়েই ব্যস্ত দিন পার করছেন ফারিণ। বর্তমানে ‘এক্সের বিয়ে’ নামে একটি নাটকের শুটিং করছেন। নাটকে তাঁর সহশিল্পী শামীম হাসান সরকার।