ঢাকার পথে কাদের, বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হাসপাতালে যাবেন

বেশ কিছুদিন ধরে আবদুল কাদের অসুস্থ ছিলেন।
ছবি:সংগৃহীত

আজ রোববার দুপুরের একটি ফ্লাইটে ভারতের চেন্নাই থেকে দেশে ফিরছেন ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেতা আবদুল কাদের। দেশের মাটিতে নামার পর জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে নেওয়া হবে ঢাকার একটি হাসপাতালে। সেই হাসপাতালের চিকিৎসক ও চেন্নাইয়ের হাসপাতালের চিকিৎসকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে শুরু হবে কাদেরের ক্যানসার নিরাময় প্রক্রিয়া।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষা করছে। অভিনেতা আবদুল কাদের ও তাঁর পরিবার পৌঁছালে সেখান থেকে তাঁদের সরাসরি নেওয়া হবে হাসপাতালে। তবে কাদেরকে কেমো দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। দুপুরে চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে তাঁর পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জানান, কদিন ধরে তাঁর শ্বশুর শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল। খুব একটা কথা বলছেন না কারও সঙ্গেই। তিনি বলেন, ‘বাবাকে কেমো দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাই চিকিৎসকেরা তাঁকে দেশে নিয়ে যেতে বলেছেন। তাঁরা প্রেসক্রিপশন দিয়েছে। দুই দেশের ডাক্তারদের পরামর্শ অনুসারে বাবার চিকিৎসা চলবে। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন।’

অভিনেতা আবদুল কাদের
সংগৃহীত

১৮ ডিসেম্বর দেশে ফেরার কথা ছিল কাদেরের। তাঁর রক্তের হিমোগ্লোবিন তিনে নেমে যাওয়ায় চিন্তিত ছিলেন চিকিৎসকেরা। সে কারণে ওই সময়ে আর তাঁকে দেশের উদ্দেশে ছাড়তে চাননি তাঁরা। হিমোগ্লোবিন তিন থেকে বেড়ে ছয় দশমিক আটে উন্নীত হলে ঢাকায় ফেরার সবুজ সংকেত দেন চিকিৎসকেরা।

এক মাস ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন আবদুল কাদের। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর তাঁকে চেন্নাইয়ে নেওয়া হয়। সেখানকার হাসপাতালের পরীক্ষায় তাঁর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন, ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে পৌঁছে গেছেন। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাঁকে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে না।

আবদুল কাদের নাটক, বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র তিন মাধ্যমেই জনপ্রিয়। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে বদি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছিলেন কাদের।

নাতনি লুবাবা ও কাদের।
ছবি : সংগৃহীত