তরমুজ কিনতে কিনতে তরমুজের দোকানই চালু করেন তিনি

‘গফুর কাকার তরমুজ’ নাটকে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান ও সানজিদা প্রীতি

গল্পটি গফুর ও জুলির। নারিন্দা লেনের তরুণী জুলি প্রচুর তরমুজ খায়। এলাকার যুবক গফুর জানতে চায় জুলি এত তরমুজ খায় কেন? জুলি বলে, তরমুজ খেলে গায়ের রং সাদা হয়। শুনে গফুর তরমুজ খাওয়া শুরু করে। সিদ্ধান্ত নেয় তরমুজ খেয়ে খেয়ে গায়ের রং সাদা বানাবে। তারপর জুলির মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেবে!
ঈদের বিশেষ নাটক ‘গফুর কাকার তরমুজ’ পটভূমি এটা। নির্মাতা হিমু আকরামের রচনা ও পরিচালনায় এই নাটকে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, সানজিদা প্রীতি, ডা. এজাজুল ইসলাম, শামীমা নাজনীন প্রমুখ।

গফুর কাকার তরমুজ’ নাটকে জাহিদ হাসান ও সানজিদা প্রীতি

একক নাটক ‘গফুর কাকার তরমুজ’ প্রচারিত হবে ঈদের ষষ্ঠ দিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে আরটিভিতে।

নাটকে দেখা যায় তরমুজ কিনতে কিনতে শেষ পর্যন্ত গফুর তরমুজের দোকানই দিয়ে বসে। প্রেমিকা জুলিকে খুশি করার জন্য। জুলি তবু খুশি হয় না। নিজের মায়ের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করে সে। তারপর স্বামীকে নিয়ে কিনতে যায় প্রিয় তরমুজ। গফুরের দোকান থেকেই। গফুর অবাক চোখে প্রেমিকা জুলির চলে যাওয়া দেখে। আর দেখে দোকানের তরমুজ!

তরমুজ কেনা, কাটা ও খাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছিল নাটকের পুরো দলটিকে

জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস আগে এ নাটকের শুটিং হয়েছিল। সে সময় প্রথম দিনের শুটিংয়ে বেশ কিছু তরমুজ খেতে হয়েছে এই তারকাকে। নাটকে গফুর চরিত্রে অভিনয় করছেন জাহিদ হাসান। এই নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘প্রথমবারের মতো কালো মেকআপ নিয়ে অভিনয় করছি । আমাদের একটা ধারণা আছে, গায়ের রং কালো হলে তরমুজ খেতে হয়। যে কারণে গল্পের প্রয়োজনে আমাকে প্রচুর তরমুজ খেতে হচ্ছে। একটি মেয়ের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আমি বেশির ভাগ সময় তরমুজ খাই। সঙ্গে তরমুজ নিয়েও ঘুরি।’

করোনার প্রথম ঢেউয়ে এই সময়ে তরমুজ কেনা, কাটা ও খাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছিল নাটকের পুরো দলটিকে ।

বেশ কয়েক মাস আগে এ নাটকের শুটিং হয়েছিল

এর আগে অভিনেত্রী সানজিদা প্রীতি বলেছিলেন, ‘গল্পে তরমুজ থাকার কারণে একটা দুশ্চিন্তা হচ্ছিল । সেটা হাত দিয়ে ধরতে হবে, কাটতে ও খেতে হবে! কোথায় থেকে কেনা, ভাইরাস আছে কি না, সেসবও ভাবতে হয়। এ জন্য বাসা থেকে আলাদা চাকু নিয়ে এসেছিলাম। নিজে হাতে তরমুজ ধুয়ে, নিজেই কেটেছি।’

তরমুজ খাওয়া নিয়ে সতর্ক ছিলেন জাহিদ হাসানও । নিজের গাড়িচালক সজলকে বাড়ি থেকে চাকু নিয়ে আসতে বলেছিলেন। তিনি সেই চাকু দিয়ে তরমুজ স্যানিটাইজ করে কেটেছেন। দৃশ্য ধারণের সময় সেগুলো খেয়েছেন জাহিদ হাসান।

নির্মাতা হিমু আকরাম

নাটকটির নির্মাতা হিমু আকরাম বলেন, ‘জাহিদ ভাইয়ের পুরো মুখ, গলা, হাত সবকিছু কালো করা হয়েছিল । সানজিদা প্রীতি জাহিদ ভাইকে যতবারই তরমুজ খাওয়াতে যান, ততবারই তরমুজের রস ভাইয়ের নাক ও গালে লেগে মেকআপ উঠে যাচ্ছিল। যে কারণে বারবার মেকআপ ঠিক করে শুটিং করতে হয়েছে। আগে বুঝতে পারিনি করোনার এই সময়ে এই গল্প নিয়ে কাজ করতে এত ঝামেলা হবে।’