তরুণের কায়া জ্যেষ্ঠরও কায়া
ছিমছাম গ্যালারিটি তার ১৫তম বর্ষ পার করল। এতগুলো বছরে শিল্পরসিকদের কী দেয়নি এই গ্যালারি! যে ১০৮টি প্রদর্শনী সেখানে হয়েছে, সেগুলো ছিল বৈচিত্র্যময়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রদর্শনীতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে কায়ায় শুরু হয়েছে ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রদর্শনী। এ উপলক্ষে উত্তরার সেক্টর ৪-এর ১৬ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়ির নিচতলায় হাজির হয়েছিলেন নানা বয়সী শিল্পপ্রেমী। তাঁদের পদধূলিতেই উদ্বোধন হলো প্রদর্শনীর। কায়ার পরিচালক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী বলেন, ‘যখন গ্যালারিটা শুরু করি, তখন জানতাম না কত দিন এটা চালাতে পারব। ১৫ বছরে অনেক কাজ করেছি। অনেক স্বপ্ন ছিল, যা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই স্বপ্নগুলো পূরণ করা সম্ভব হবে। এটা ভেবে খুব ভালো লাগছে যে বিগত দিনে যাঁদের সঙ্গে চলেছি, যাঁদের সহযোগিতা পেয়েছি, সেই শিক্ষক, শিল্পী, বন্ধুরা সবাই আজ এসেছেন।’
কায়া সব সময়ই তারুণ্যের জয়জয়কার তুলেছে। তরুণ ও জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের আঁকা ছবি নিয়ে করেছে প্রদর্শনী। সেখানে আমিনুল ইসলাম থেকে শুরু করে শাহনূর মামুন, মুর্তজা বশীর থেকে সোহাগ পারভেজের ছবি গুরুত্ব পেয়েছে। পাশাপাশি তারা করেছে বেশ কিছু আর্ট ক্যাম্প ও আর্ট ট্রিপ। সেসব ট্রিপে অল্প কজন শিল্পী মিলে গিয়েছেন বিশ্বের ঐতিহাসিক বা মনোরম কোনো প্রাকৃতিক অঞ্চলে। কখনো কম্বোডিয়ার আঙ্কর ওয়াট বা ভুটানের প্রাকৃতিক কোনো জায়গায় একাত্ম হয়ে তাঁরা এঁকেছেন। সেসব ছবি নিয়ে পরে হয়েছে প্রদর্শনী।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে গৌতম চক্রবর্তী বলেন, ছাপচিত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন তাঁরা। ছাপা স্টুডিও বলে একটা উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা, যেখানে ইতিমধ্যে সীমিত পরিসরে কাজ শুরু করেছেন শিল্পীরা।
প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর উদ্যাপনে যৌথ প্রদর্শনীতে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতিমান ৪৩ জন আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্পীর ৭২টি চিত্রকর্ম। ভারতের মকবুল ফিদা হুসেন, গণেশ হালুই, কে জি সুব্রামানিয়াম, এম এফ হুসেইন, এস এইচ রাজা, অমিতাভ ব্যানার্জিসহ আছেন বাংলাদেশের
সফিউদ্দিন আহমেদ, মুর্তজা বশীর, আমিনুল ইসলাম, দেবদাস চক্রবর্তী, রফিকুন নবী, জামাল আহমেদের ছবি। গ্যালারি ঘুরে আসা যাবে ২০ জুলাই পর্যন্ত। কায়ার দরজা খোলা থাকে বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।