তাহসান-তানজিন তিশাদের পরিচালকও করোনায় আক্রান্ত

তানজিন তিশা, তাহসান ও রাজ

তাহসান ও তানজিন তিশাকে নিয়ে একটি ওয়েব প্রযোজনার শুটিং করছিলেন পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এই সেট থেকে শুরুতে তিশা ও পরে তাহসানের কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এবার জানা গেল, তাহসান ও তানজিন তিশাদের পরিচালক রাজও কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়েছেন। উপসর্গ নিয়ে কোভিড–১৯ পরীক্ষা করানোর পর আজ শনিবার ফল হাতে পেয়ে জানতে পারেন, তিনিও করোনায় আক্রান্ত।

নির্মাতা রাজ বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলছেন। দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ

সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বেশ আয়োজন করে একটি ওয়েবভিত্তিক প্রযোজনার শুটিং শুরু করেন রাজ। ওই প্রকল্পে প্রধান দুই চরিত্রের অভিনয়শিল্পী তাহসান ও তানজিন তিশা। ‘মানি মেশিন’ নামের ওই প্রযোজনার শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন তাহসান ও তানজিন তিশা। গত সপ্তাহে হঠাৎ সেই শুটিং থেকে বিরতি নেন তিশা। জ্বর ও খাবারের স্বাদ–গন্ধ না পাওয়ায় শুটিং থেকে বিরতিতে যান তিশা। কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার পর জানতে পারেন তিনি করোনায় আক্রান্ত। এরপর পুরো শুটিং স্থগিত করা হয় এবং অভিনয়শিল্পীসহ ইউনিটের সবাই হোম আইসোলেশনে চলে যান। এরপর ওই ইউনিটের প্রায় সবাই আইসোলেশনে চলে যান। তাহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু আমরা তিশার সঙ্গে কাজ করেছি, তাই নিয়ম অনুসারে সবার আইসোলেশনে যাওয়া উচিত। পরে দেখলাম, আমারও ছোটখাটো লক্ষণ আছে। সে কারণে পরীক্ষা করিয়ে ফেললাম। ফল পেয়েছি। আমিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।’

তানজিন তিশা ও তাহসান। ছবি: সংগৃহীত

করোনায় আক্রান্ত তানজিন তিশা বলেন, ‘একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া আমার দায়িত্ব। সেটা ভেবে যখনই জ্বরে আক্রান্ত হই এবং কোনো খাবারের স্বাদ পাচ্ছিলাম না, মনে মনে ভাবলাম, এটা হয়তো করোনারই লক্ষণ।’ তানজিন তিশা বলেন, ‘আমি যেহেতু নিয়মিত কাজ করছি এবং সামনে অনেকগুলো কাজের ব্যাপারে কথাবার্তাও চূড়ান্ত হয়ে আছে, তাই হয়তো অনেকের সংস্পর্শে যেতে হবে। শুটিং করলে আমার সংস্পর্শেও অনেকে আসবেন। তাই ভাবলাম, কাজ শুরু করার আগে আমার নিজের, পরিবারের এবং সহকর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা দরকার। উপসর্গ নিয়ে নিজে থেকেই দ্রুত ছুটে যাই হাসপাতালে, পরীক্ষা করাই। এরপর জানতে পারি, আমি করোনায় আক্রান্ত। বাসার সবাইকে জানিয়ে আমি হাসপাতাল থেকে ফিরে আইসোলেশনে চলে যাই। রুমের বাইরে থেকে মা খাবার দিয়ে যাচ্ছেন।’