অভিনেতা তৌসিফের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে নারীর জিডি

তৌসিফ মাহবুবছবি সংগৃহীত

তরুণ অভিনেতা তৌসিফ মাহবুবের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন শামসুন্নাহার কনা নামের এক গৃহিণী। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় তিনি এই সাধারণ ডায়েরি করেন। গৃহিণীর অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন তৌসিফ। অভিযোগের উপযুক্ত প্রমাণ দিতে না পারলে ওই গৃহিণীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার আভাস দিয়েছেন তৌসিফ। এরই মধ্যে পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।

তৌসিফ মাহবুব
ছবি: ফেসবুক

সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিনেতা তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে ফেসবুকে ১৮ মাস আগে পরিচয় হয় শামসুন্নাহার কনার। পরিচিত হওয়ার পর গত ছয় মাস আগে একটি নম্বরে গৃহিণীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন তৌসিফ। এরপর তিনি তৃতীয় পক্ষ শাহরিয়া হোসেনের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক, সাহাপুর শাখা, চাটখিল, নোয়াখালী অ্যাকাউন্ট নম্বর ৩৪১০০৪৪১ হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে আরও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। টাকা নেওয়ার পর তৌসিফ ওই গৃহিণীর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেননি।

সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে শামসুন্নাহার কনা দাবি করেন, তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে ফেসবুকে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর মডেল বানানোর কথা বলে বিভিন্ন সময়ে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন তৌসিফ। কনার এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৌসিফ বলেন, ‘এসব মিথ্যা ও বানোয়াট। ১২ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইটে ঢাকায় নামার পর একটা ফোন পাই। কথোপকথন ছিল এ রকম, ‘ভাইয়া, আপনি তৌসিফ?
জি বলছি।
আমি কনা বলছি। আমি আসলে ভুল তৌসিফের সঙ্গে কথা বলে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ফেলছি।
আপনি ভুল করেছেন। আমার তো কিছু করার নাই। এই যুগে এসেও এই রকম বোকামি কেন করবেন!’

প্রক্সি প্রেম নাটকে তৌসিফ মাহবুব ও সাবিলা নূর। ছবি: সংগৃহীত

তৌসিফ বলেন, ‘তারপর থেকে কন্টিনিউয়াসলি তিনি আমাকে ফোন দিয়েই যাচ্ছেন। আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমাকে বিব্রতকর বিভিন্ন মেসেজ পাঠান। আমি একাধিক নম্বর ব্লক করি। আজ শুনি তিনিই আমার বিরুদ্ধে জিডি করেছেন!’

কেন এমনটা হচ্ছে বলে আপনার ধারণা? এমন প্রশ্নে তৌসিফ বললেন, ‘অনেক ভক্তই তো আমাদের ফোন করেন। শুরুতে ভেবেছিলাম তেমন কিছু হবে হয়তো। কিন্তু আমার সম্মানহানি করা হবে, এটা ভাবিনি! শুধু আমি নই, আমার অঙ্গনের যাঁরাই ঘটনাটি শুনছেন, তাঁরাই অবাক হচ্ছেন। তাঁরা নিশ্চিত, এটা সত্যি না। তবে আমি যে টাকা নিয়েছি, এর প্রমাণ দিতে হবে। বিষয়টা তো এমনটা যে মন চাইল আর বলে ফেললাম। আমার অ্যাকাউন্টে তো ৫ লাখ টাকা নাই (হাসি)।’

বহু নাটকের জুটি সাফা কবির ও তৌসিফ মাহবুব। ছবি: সংগৃহীত

শামসুন্নাহারের সঙ্গে কথার বলার জন্য ফোন করা হলে তিনি প্রথম আলোর প্রতিবেদককে তাঁর নম্বর কোথায় পেয়েছেন, তা জানতে চান। তিনি জানান, তাঁর এই নম্বর তৌসিফ ছাড়া আর কেউ জানে না। যখন বললাম অন্য মাধ্যম থেকে পেয়েছি, তখন তিনি ব্যস্ত, বাইরে আছেন বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফোন কাটার ১৪ মিনিট পর আরেকটা নম্বর থেকে প্রতিবেদকের কাছে ফোন করে শামসুন্নাহার কনা বলেন, ‘আমি তৌসিফের মেইন ফেসবুকে আইডিতে নক করে তাকে পাই। মিডিয়াতে কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে কিশোরগঞ্জের বাড়ির জমি বিক্রি করে টাকা এনেছিলাম। আমি মডেলিংও করেছি, এটা আমার স্বামীও জানতেন। তৌসিফকে আমি পছন্দও করতাম। তাঁর মাধ্যমে মিডিয়াতে কাজের সুযোগ হবে ভেবেছিলাম।’