‘পাহাড়ি এলাকায় হানিমুন সারতে চাই’

প্রসূন আজাদ
ছবি: ফেসবুক

বিয়ে করলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ। করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি আজ দুপুরে একটি মসজিদে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর বর ফারহান গাফফার একজন ব্যবসায়ী। তাঁরা ছিলেন দীর্ঘদিনের বন্ধু। গত জুন মাসে পারিবারিকভাবে এই অভিনেত্রীর বাগদান সম্পন্ন হয়। করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে তিনি দেশের ভেতর পার্বত্য কোনো এলাকায় হানিমুন পর্ব সারতে চান বলে জানালেন।
ঈদের ঠিক পরের শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিয়ের কথা ছিল অভিনেত্রী প্রসূন আজাদের। করোনা এবং বিশেষ কারণে দিনটি পিছিয়ে যায়। আজ বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে প্রসূন বলেন, ‘আমাদের বিয়ের পর্বটা শেষ হয়েছে। বাঙালি রীতি অনুযায়ী বিয়ে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা এখনো চলছে। সবাইকে দোয়া করতে বলবেন। আমরা যেন সুখী হতে পারি।’

গতকাল এই অভিনেত্রীর গায়েহলুদ হয়

গতকাল এই অভিনেত্রীর গায়েহলুদ পর্ব শেষ হয়েছে। আগে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বিয়েতে কোনো গায়েহলুদ হবে না। এই প্রসঙ্গে প্রসূন বলেন, ‘করোনার কারণে বড় কোনো আয়োজন ছিল না। বিয়ে উপলক্ষে পরিবারের সবাই ছিলেন। সবার কথাতেই গায়েহলুদ করতে হয়েছে। আলাদা কোনো আয়োজন ছিল না। স্বল্প পরিসরে ঘরোয়াভাবে গায়েহলুদ শেষ হয়েছে। ’
তাদের বিয়েটা হঠাৎ করেই হয়েছে বলে জানালেন প্রসূন। মে মাসেও তাঁদের বিয়ে নিয়ে আপাতত কোনো ভাবনাই ছিল না। নতুন সংসার এবং অন্যান্য উপলব্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার নতুন পরিবার অনেক বড়। আর বিয়ে মানেই আমার কাছে অনেক দায়িত্ব। সবাইকে নিয়ে আমাদের সংসারটা সাজাতে চাই। বিয়ে উপলক্ষে অনেক মানুষ এসেছেন। নতুন সম্পর্কের সবাই আমাকে কীভাবে নেবেন, বুঝতে পারছি না। বিয়েতে শ্বশুরবাড়ি গেলে অনেক রকম কথা হয়। আমিই বা তাঁদের কথাকে কীভাবে নেব, জানি না। তবে সবাই আমার কাছে আপন।’  

প্রসূন আজাদ
ছবি: ফেসবুক

কঠোর লকডাউনের মধ্যে তাঁদের বিয়ে। এ কারণে আপাতত হানিমুন হচ্ছে না। পরিস্থিতি ভালো হলে দেশেই তাঁরা একান্তে ঘুরতে চান। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় ঘুরতে পছন্দ করি। আমার কাছে মনে হয় দেশে অনেক ঘোরার জায়গা রয়েছে। একবার কেওক্রাডং ঘুরতে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছিল। আমার বরকে অনুরোধ করব, যদি সম্ভব হয় তাহলে আমাকে যেন পাহাড় দেখিয়ে নিয়ে আসেন। হানিমুন পর্ব পাহাড়ি এলাকাতেই সারতে চাই।’

প্রসূন আজাদ

দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। কবে মনে হলো বিয়ে করবেন? এমন প্রশ্নে প্রসূন বলেন, ‘আমাদের প্রায়ই দেখা হতো, কথা হতো। পরে বুঝতে পারলাম আমরা প্রেমে পড়েছি, ওকে (ফারহান গাফফার) ছাড়া আমার কিছু ভালো লাগে না। আমরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে কথা বলি। পরে সে নিজেই আমার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বাবা রাজি হন।’