বিরতি শেষ, কাজ শুরু

নুসরাত ইমরোজ তিশা
সংগৃহীত

শুটিংয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। টানা ছয় মাস করোনাকালের সঙ্গনিরোধের বিধি মেনে বাসায় থাকার পর আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু করেছেন নাটকের শুটিং। অভিনয়জীবনে এমন দীর্ঘ বিরতির দরকার ছিল উল্লেখ করে তিশা বলেন, ‘একটানা শুটিংয়ের ব্যস্ততার ফাঁকে এই বিরতিটার খুব দরকার ছিল। এই বিরতি ছিল নিজেকে বোঝার ও জানার জন্য।’ তিনি জানান, নতুন করে কাজ শুরুর আগে তাঁকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে।

তিশা বললেন, ‘এই বিরতিটার খুব দরকার ছিল।’
সংগৃহীত

গত মাসেই তিশা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শুটিংয়ের ফিরবেন। সে জন্য একটু একটু প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এই প্রস্তুতির তালিকায় ছিল ফটোশুট ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কাজগুলোকে সীমিত পরিসরে নিয়ে আসা। করোনার সঙ্গনিরোধকাল কাটিয়ে তিশার সহশিল্পীরা কাজে ফিরেছেন বেশ অনেক দিন আগেই। তাহলে তাঁর এত সময় নেওয়ার কারণ কী ছিল? জবাবে তিশা বললেন, ‘কাজে তো একদিন ফিরতেই হবে। আমার মনে হয়েছে, শুটিং ইউনিটগুলো এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং শুরু করেছে। এভাবে আর বাসায় বসে থাকা যায় না। কমিটমেন্টের জায়গায় বাঁধা সবকিছু।’ শুটিংয়ে ফেরার জন্য তাঁকে বাড়তি প্রস্তুতি হিসেবে স্যানিটাইজার ও মাস্ক কিনতে হয়েছে। দীর্ঘদিন পর শুটিংয়ে ফেরার মানসিক প্রস্তুতির বয়ান দিয়ে তিশা বলেন, ‘অনেক দিন পর কাজ শুরু করছি—এ নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। মানসিকভাবে শক্ত হয়েই কাজে ফিরেছি।’

ছয় মাস পর গতকাল পুবাইলের একটি শুটিং স্পটে কাজ শুরু করেন তিনি
প্রথম আলো

গত ২২ মার্চ থেকে ছোট পর্দার সব শুটিং বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন থেকেই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তিশা। পরে জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং শুরু হলেও তিনি নিরাপত্তার কারণে দূরেই ছিলেন। দীর্ঘ ছয় মাস পর গতকাল পুবাইলের একটি শুটিং স্পটে কাজ শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ বিরতির পর কাজে নেমে কেমন লাগছে? জবাবে তিশা বলেন, ‘আমি একজন পরিচালকের সঙ্গে থাকি। সে জন্য ক্যামেরা, ডিরেকশন, স্ক্রিপ্ট বা আইডিয়ার সঙ্গেই ছিলাম। তবে অনেক দিন পর ইউনিটের সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটছে।’ করোনার আগে এবং পরে কাজের ক্ষেত্রের পরিবর্তনগুলো নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে যেমন নিজেদের মতো করে ধুপধাপ করে শুটিংয়ে আসা, হইহুল্লোড় করে শুটিং করতাম, সেই পরিবেশটা এখন আর নেই। এখন প্রতিমুহূর্তে করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।’

‘রাত গভীর হয়’ নাটকের শুটিংয়ে তিশা
মোশাররফ করিম

করোনার আগে একের পর এক নাটক ও চলচ্চিত্রের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পরিবারকে খুব একটা সময় দেওয়া হতো না তিশার। সেই অভিযোগ এবার ঘুচিয়ে দিয়েছে করোনা। তিশা বলেন, ‘আগে তো পরিবারকে সেভাবে সময় দিতে পারতাম না। করোনায় সেই সুযোগটা হয়েছে। বাসায় সময়টাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। অনেক বই পড়েছি, ছবি দেখেছি। প্রচুর স্ক্রিপ্ট পড়েছি, বাগান করেছি, সেলাই করেছি। হাতের আরও কাজ করেছি।’

সাজিন আহমেদের লেখা ও সকাল আহমেদের পরিচালনায় ‘রাত গভীর হয়’ নাটক দিয়ে কাজে ফিরলেন তিশা। গল্পে চাচাতো ভাই–বোনের চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিম ও তিশাকে। নির্মাতা সকাল আহমেদ বলেন, ‘তিশার সঙ্গে আমার গত মাসে এই কাজটি নিয়ে কথা হয়। তখন তিনি বলেছিলেন, এই মাসে কাজ শুরুর করবেন। তখনই আমরা ঠিক করি, তিশা কাজে ফিরলে আমার নাটকেই শুটিং করবেন।’