মহাসমাবেশের ডাক দিলেন মামুনুর রশীদ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার প্রতিবাদে আবারও ঢাকার রাজপথে শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ‘ঐতিহ্য ও কৃষ্টির এই দেশে, থাকি সবাই মিলে মিশে’ এ স্লোগান সামনে রেখে এই সম্প্রীতি সমাবেশ করে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)।

এফটিপিওর সভাপতি মামুনুর রশীদ জানালেন, শিগগিরই বৃহত্তর সমাবেশের আয়োজন করা হবে
ছবি : সাবিনা ইয়াসমীন

ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর রাজধানী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় দুই ঘণ্টা ধরে সমাবেশ করেন শিল্পী ও কলাকুশলীরা। সভায় এফটিপিওর সভাপতি মামুনুর রশীদ জানালেন, শিগগিরই বৃহত্তর সমাবেশের আয়োজন করা হবে। সারা দেশের শিল্পী-কলাকুশলীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই আন্দোলনে যুক্ত করা হবে।

এফটিপিওর সভাপতি মামুনুর রশীদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা যেমন অভিনয় করি, পরিচালনা করি, সাংস্কৃতিক চর্চা করি—তেমনি প্রতিটা পরিবারে অসাম্প্রদায়িকতার চর্চাও প্রতিদিন হওয়া উচিত। আমরা কিন্তু আমাদের অজান্তে এমন একটা সমাজ গড়ে তুলেছি, যে সমাজ রাজনীতিতে, সংস্কৃতিতে ধর্মকে ব্যবহার করছে। আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতিতেও ধর্মকে ব্যবহার করার একটা প্রতিযোগিতা দেখছি।

ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে বা পেছন থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব
ছবি : সাবিনা ইয়াসমীন

সেই প্রতিযোগিতাকে ধ্বংস করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের যে বিধ্বংসী কার্যক্রম চলছে, এগুলোকে ধ্বংস করতে হবে। আর এ জন্য অনতিবিলম্বে আমরা সমাবেশের ডাক দেব। আমাদের অন্য যেসব সংগঠন আছে, তাদের লাগাতার কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাব। প্রতিটি সংগঠন যেন আলাদা আলাদাভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করে। মহাসমাবেশ ডাকব, সেটি খুব পরিকল্পিতভাবে, যাতে সারা দেশের শিল্পী–কলাকুশলীর পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিতে পারে।’

পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল ১০টায় এফটিপিওভুক্ত সংগঠনের নেতারা মানিক মিয়া অ্যাভিনিওতে সমবেত হন। এফটিপিওভুক্ত ১৫ সংগঠন ছাড়াও এতে শামিল হয়ে সংহতি প্রকাশ করে সংগীত মোর্চা ‘সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ’, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, পথনাটক পরিষদ, আবৃত্তি পরিষদ, নৃত্যশিল্পী সংস্থা, নৃত্যাঞ্চল, বাচসাস, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল ১০টায় এফটিপিওভুক্ত সংগঠনের নেতারা মানিক মিয়া অ্যাভিনিওতে সমবেত হন
ছবি : সাবিনা ইয়াসমীন

সকাল সাড়ে ১০টায় সূচনা বক্তব্যে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে বা পেছন থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব। এবারও আমরা সে কাজটিই করছি তবে রাজপথে নেমে। কিছু সাম্প্রদায়িক মানুষ আমাদের পথে নামতে বাধ্য করেছে। তাদের আমরা বলতে চাই, উগ্রবাদীর এ দেশে জায়গা নেই, সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই।’

সম্প্রীতি সমাবেশের প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরেশ যাকের এবং সদস্যসচিব আনজাম মাসুদ। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, তারিক আনাম খান, নিমা রহমান, শিবলী মহম্মদ, গাজী রাকায়েত, তুষার খান, ইরেশ যাকের, জিয়াউল হাসান কিসলু, আহসান হাবিব নাসিম,

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার প্রতিবাদে আবারও ঢাকার রাজপথে শিল্পী ও কলাকুশলীরা
ছবি : সাবিনা ইয়াসমীন

তারিন জাহান, সুমন আনোয়ার, মীর সাব্বির, মাসুম রেজা, শমী কায়সার, রাশেদ মামুন, কবিরুল ইসলাম রতন, নাদিয়া আহমেদ, সুষমা সরকার, শিহাব শাহীন, শাহেদ আলী, দীপা খন্দকার, আজাদ আবুল কালাম, জয়শ্রী কর জয়া, দেবাশীষ বিশ্বাস, রেজানূর রহমান, কামরুজ্জামান সাগর, সাব্বির, সন্দীপন, শুভ, পুলক, সমরজিৎ রায়সহ অনেকে।