মিথিলার আগাম জামিন আবেদন, চেষ্টা করছেন ফারিয়াও
ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা মামলায় অভিযুক্ত অভিনয়শিল্পী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা আগাম জামিন আবেদন করেছেন। মিথিলার একটি পারিবারিক সূত্র জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে শবনম ফারিয়া একই মামলায় আগাম জামিনের চেষ্টা করছেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে। ফারিয়ার হয়ে উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আবেদনের চেষ্টা চালাচ্ছেন আইনজীবী জেসমিন সুলতানা। প্রথম আলোকে দুজনের পারিবারিক একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ রোববার মিথিলা জামিন আবেদন করেছেন। কাল সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হবে।
৪ ডিসেম্বর ইভ্যালির হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন সাদ স্যাম রহমান নামের ইভ্যালির এক গ্রাহক। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে যেকোনো সময় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।
গায়ক ও অভিনয়শিল্পী তাহসান খান শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন ইভ্যালিতে। আর মিথিলা ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’। এ ছাড়া চলতি বছরের জুন মাসে প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিয়েছিলেন শবনম ফারিয়া। কিন্তু আড়াই মাস চাকরি করে কোনো বেতন পাননি তিনি। প্রথম আলোকে ফারিয়া বলেন, ‘আমাদের মিডিয়াগুলো জানত যে আমি সেখানে (ইভ্যালিতে) কাজ শুরু করেছি। তখন মিডিয়াকর্মীরা ফোন করতেন। তাঁরা বলতেন,“আপনার ওখানে কিন্তু আমাদের এত টাকা বকেয়া।” তখন দেখলাম, আমি শুধু শুধু এসব চাপ নিচ্ছি। এই চাপ তো আমার নেওয়ার কথা না। আমার তখন মনে হচ্ছিল, এসবের প্রভাব আমার অভিনয় ক্যারিয়ারের ওপর পড়ছে, যেটা আমার মূল কাজ। আমি তখন প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং বিভাগের আরিফ আর রহমানকে বলে চাকরি ছেড়ে দিই। সব মিলিয়ে আড়াই মাসে কোনো টাকা–পয়সা না নিয়েই চাকরি ছেড়েছিলাম।’
ইভ্যালিতে যুক্ত হওয়া ও ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তাহসান খান বলেন, ‘ইভ্যালি আমার কাছে প্রথম যখন এসেছিল, তখন আমি কিন্তু যুক্ত হইনি। এই বছর যখন তারা এল, তাদের স্পষ্ট কথা ছিল, আমি কেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে সংকোচ বোধ করছি। তারা বলছিল, ইভ্যালি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ই–কমার্স কোম্পানি, ৪০ লাখ তাদের গ্রাহক। তারা আইটি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সিনেমার স্পন্সর, জাতীয় দলের স্পন্সর, তাহলে আমি কেন করব না। ওই মুহূর্তে আমার মনে হয়েছে, আমি তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। তাদের কথা ও কার্যক্রম দেখে আমার তখন মনেই হয়নি, তারা ইলিগ্যাল কোনো কোম্পানি। একটা ইলিগ্যাল কোম্পানির সঙ্গে তো বাংলাদেশের এত বড় বড় প্রতিষ্ঠান যুক্ত হতো না। তারা বাংলাদেশে সব বড় ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি করছে। সেটা মোটরসাইকেল হোক বা গাড়ি। একটা ইলিগ্যাল কোম্পানি তো কখনই এত বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে পারে না। এত এত অ্যাওয়ার্ডও পেতে পারে না, আমি সেই চিন্তা থেকে যুক্ত হয়েছি। এরপর দেখলাম, কাস্টমার কমপ্লেইন এত বেশি, আমার পরিচিতজনদের কমপ্লেইনও তারা সলভ করতে পারছে না, তখনই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি বের হয়ে এসেছি।’