মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত

সংগঠনগুলো থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কচি খন্দকার
ছবি: সংগৃহীত

‘আমি ডিরেক্টরস গিল্ড, অ্যাক্টরস ইকুইটি (অভিনয় শিল্পী সংঘ), নাট্যকার সংঘ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ পরিচালক, অভিনেতা ও নাট্যকার কচি খন্দকার গতকাল রোববার ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাঁর তীব্র অভিমান, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। সংগঠনের কেউ খোঁজ নেননি, দেখা করেননি। এ কারণে সংগঠনগুলো থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

উল্লিখিত তিন সংগঠনেরই সরব সদস্য অভিনেতা। যেকোনো সভায় নিয়মিত তিনি উপস্থিত থাকেন। হঠাৎ কেন প্রিয় সংগঠন ছাড়ার ঘোষণা? গতকাল রাতে কচি খন্দকার বলেন, ‘মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি আমি। সংগঠনের কেউ দেখাও করেননি, খবরও নেননি। যাঁরা আমাকে নিজেদের একজন মনে করেন না, সেসব সংগঠনে থাকার দরকার কী? এই জন্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গত নভেম্বর মাসে শুটিংয়ে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন কচি খন্দকার
ছবি: সংগৃহীত

গত নভেম্বর মাসে শুটিংয়ে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন কচি খন্দকার। বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছিলেন। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাঁর হার্টে একাধিক ব্লক ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের পরামর্শে গত মাসেই অপারেশন করাতে হয় তাঁকে। এখন তিনি বিশ্রামে আছেন। আগামী তিন মাস কোনো কাজ করতে পারবেন না। জীবনের এই কঠিন সময়ে পাশে পাননি কোনো সহকর্মীকে। এ নিয়ে আক্ষেপ তৈরি হয়েছে তাঁর। অভিমান করে কচি খন্দকার বলেন, ‘আমি অসুস্থ, এটা সংগঠনের সবাই জানেন। কারণ, আমি ফেসবুকে খবরটা দিয়েছি। সেটা সবাই দেখেছেন। আমার অসুস্থতার খবর প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। তার পরও আমার অসুস্থতা, জীবন-মরণের ঝুঁকি নিয়ে অপারেশনের খবর আমার প্রিয় সংগঠনের কারও কানে পৌঁছাল না? একবার ফোন করে সংগঠনের পক্ষ থেকে যদি খবর নেওয়ার মতো কেউ না থাকেন, সেই সংগঠন দিয়ে আমি কী করব? আমি কি তাদের কাছে অন্য কোনো সহায়তা চেয়েছি? তিন সংগঠনের এ উদাসীনতায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছি।’

পরিচালক, অভিনেতা ও নাট্যকার কচি খন্দকার
ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘কচি ভাই (কচি খন্দকার) অসুস্থ ছিলেন, এটা আমরা জানতাম না। তিনিও আমাদের জানাননি। একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। তিনি কষ্ট পেয়েছেন। আমরা জানলে সবার পাশেই দাঁড়াই। সবার নিয়মিত খোঁজখবর নিই। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। আশা করি তাঁর অভিমান ঘুচবে।’

‘ভালো আছি, নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছি।’ – বলেন কচি খন্দকার
ছবি: সংগৃহীত

অপারেশনের পর শারীরিক অবস্থা কেমন? কচি খন্দকার বলেন, ‘অপারেশনের সময়ে শরীরের অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। এখন শঙ্কামুক্ত। ভালো আছি, নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছি। স্বাভাবিক রুটিনে ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে। চাপ নিয়ে কোনো কাজ আপাতত করছি না। অসুস্থ হওয়ার পর আমার জীবন সম্পর্কে নতুন উপলব্ধি তৈরি হয়েছে। সুস্থ হলে আমার প্রথম সিনেমা নির্মাণে হাত দেব। যেভাবেই হোক, আমাকে সিনেমা শেষ করেই যেতে হবে।’