মেহজাবীনের ভিডিও বার্তা আর নারী গৃহকর্মীরূপী চঞ্চল

চঞ্চল চৌধুরী ও মেহজাবীন
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দেশের প্রথম সারির তারকারা নিজেদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ফেসবুকে দিয়েছেন চমৎকার কিছু পোস্ট। মেহজাবীন চৌধুরী তো আস্ত একটা ভিডিওই বানিয়ে ফেলেছেন। সেই ভিডিও সাড়া ফেলেছে ভক্তমহলে। ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে মেহজাবীন সহজে বলে দিয়েছেন অনেক বড় কথা। নারীরা যেন সমাজের চোখে ভালো হতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে না ফেলেন। অন্যের কথা শুনে খেই হারিয়ে না ফেলেন। কেননা তিনি যাঁর কথা শুনে যা-ই করুন না কেন, যেমনই হোক না কেন, এক পক্ষ কটু মন্তব্য করবেই। তাই কারও মতো হতে না চেয়ে, কারও কথা কানে না নিয়ে; বরং নিজের ভেতরের ‘ইউনিকনেস’ উদযাপন করাই হবে সেরা কাজ। অন্যদিকে বড় পর্দার ‘মিসির আলী’ চঞ্চল চৌধুরী নারী গৃহকর্মীর সাজে একটি ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, একদিনের লোকদেখানো দিবস পালনে তিনি বিশ্বাসী নন। বরং সব সময় সব ক্ষেত্রে নারীদের ন্যায্য অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হোক, আজকের দিনে এটিই তাঁর দাবি।

মেহজাবীন চৌধুরী।
ছবি: প্রথম আলো

মেহজাবীন চৌধুরী
নারী দিবস উপলক্ষে ছোট পর্দার বড় তারকা মেহজাবীন শেয়ার করেছেন চমৎকার একটি ভিডিও বার্তা। সেই ভিডিও খুবই পছন্দ করেছেন ভক্তরা। মাত্র ৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সমাজের চোখে সেরা হওয়ার জন্য আমরা নারীরা প্রায়ই ভুলে যাই, আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো দিক দিয়ে আলাদা। আর তাই অন্যের কাছে সেরা হওয়ার চেষ্টা না করে আমাদের উচিত নিজেদের স্বতন্ত্র সত্তা আবিষ্কার করা। এই সত্তাই আমাদের জীবনের দৌড়ে সামনের সারিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নারীদের পাশে যাঁরা আছেন, থাকবেন, সেসব পুরুষ বন্ধুকে এবং অবশ্যই নারী বন্ধুকে আজকের এই দিনে জানাই বিশেষ শুভেচ্ছা।’

চঞ্চল চৌধুরী
ছবি : সংগৃহীত

চঞ্চল চৌধুরী
ছোট ও বড়—দুই পর্দায় ছক্কা হাঁকানো চঞ্চল চৌধুরী একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে শাড়ি পরা, চোখে কাজল আর নাকে নথ। এই ছবিতে তিনি দেখা দিয়েছেন নারী গৃহকর্মীর ভূমিকায়। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বিশেষ একটি দিনে নারীর প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা—ব্যাপারটা অনেকটাই লোকদেখানো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে খুব ঘটা করেই এ রকম অনেক দিবসই পালিত হয়।’ তারপরই তিনি লিখেছেন কাজী নজরুল ইসলামের অমর বাণী, ‘বিশ্বে যা–কিছু মহান সৃষ্টি চির–কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ তারপর লিখেছেন, ‘এটা কি শুধুই কবিতার লাইন? নাকি আমাদের বোধে আর বিশ্বাসেও এই সত্যটা আছে? বিশেষ একটি দিনে নয়, সারা বছরজুড়ে, ঘরে–বাইরে সব ক্ষেত্রে নারীর সম–অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। যোগ্যতার বিচারে নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। মাতৃরূপী সব নারীই সৃষ্টির আদি ইতিহাস। নারী দিবসে, সব গৃহপরিচারিকার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা।’