যুক্তরাষ্ট্রে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে করোনার টিকা নিলেন নওশীন

নওশীন নাহ্‌রীনকোলাজ : আমিনুল ইসলাম

স্বামী হিল্লোল ও সন্তান নিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী, মডেল ও উপস্থাপক নওশীন নাহ্‌রীন। সেখানে তিনি রেডিওলজি নামের একটি চিকিৎসাসেবা প্রদান প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তাই সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে গতকাল তিনি করোনার টিকা নিলেন। নিউইয়র্কের কুইন্সের একটি হাসপাতালে গিয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় করোনার এই টিকা নেন। করোনার টিকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি তাঁর ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।

নওশীন নাহ্‌রীন
ছবি : প্রথম আলো

নওশীন তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কোভিড-১৯–এর টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি।’ টিকা গ্রহণের কার্ডের একটি ছবি নওশীন তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, ৫ জানুয়ারি নওশীন ফাইজার-বায়োএনটের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। আরও একটি ডোজ তাঁকে নিতে হবে। তবে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর এখনো কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

‘মুখোশ মানুষ’ নামের একটি ছবিতে হিল্লোল ও নওশীন
ছবি : সংগৃহীত

নওশীন জানান, তিনি নিউইয়র্কে রেডিওলজি নামের একটি চিকিৎসাসেবা প্রদান প্রতিষ্ঠানে বিপণন ও প্রশাসন বিভাগে কাজ করছেন। কুইন্সে থাকা নওশীনের সঙ্গে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার সময় কথা হয় প্রথম আলোর। তিনি বললেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান এখানকার স্বাস্থ্য ইনস্যুরেন্সের আওতায় থাকা মানুষের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগীরাও এখানে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। মূলত এমআই, এক্স–রে, সিটি স্ক্যান করা হয়। আমাদের প্রতিষ্ঠান যেহেতু চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে, তাই আমি প্রিভিলেজড। আমাকেও সম্মুখযোদ্ধা এবং হেলথ কেয়ার অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে ধরা হয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সব চাকরিজীবী এই টিকার সুবিধা পাচ্ছেন। হেলথ কেয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে কাজ করি বিধায়, আমিও প্রথমভাগে করোনার টিকা পেয়েছি।’

নওশীন ও তাঁর স্বামী হিল্লোল
ছবি: সংগৃহীত

কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, জানতে চাইলে নওশীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আহামরি কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। সাধারণত, ফ্লু শট দিলে যা হয়, একটু হালকা ব্যথা, জ্বর আসা—তেমনই। এর বাইরে আর কিছুই মনে হচ্ছে না। আমার মনে হয়, পর্যাপ্ত ঘুম হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’

নওশীন নাহ্‌রীন
ছবি : সংগৃহীত

নওশীন জানালেন, প্রথম ডোজের তিন সপ্তাহ পর তিনি টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন। নওশীন বললেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে সময় আমরা সবাই কাজ করেছি। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমার পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে আমি করোনার টিকা নিলাম। এর বাইরে আমার মামা-মামি দুজনই যেহেতু চিকিৎসক, তাই তাঁরাও করোনার টিকা পেয়েছেন। আস্তে আস্তে আমাদের পরিবারের অন্যরাও করোনার টিকা পাবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা অনুমোদনের পর তা দেওয়া শুরু হয়। দেশটিতে দ্বিতীয় টিকা হিসেবে মডার্নার টিকা অনুমোদনের পর তার ব্যবহার শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ করোনার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তিনি।