যে কারণে ফেসবুকে নিজের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন ইরেশ

কয়েক দিন ধরে হালকা কাশি, একটু জ্বর ইরেশ যাকেরের। একই অ্যাপার্টমেন্টে পাশাপাশি বাসায় তাঁর মা আর নানিও থাকেন। তাই কিছুটা সন্দেহ, তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত নন তো। এরপর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টেস্ট করান। পরীক্ষার প্রতিবেদন আজ রোববার রাতে হাতে পেলে জানতে পারেন, তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে রাতে তা নিশ্চিত করেন ইরেশ যাকের।
করোনায় আক্রান্ত ইরেশ যাকের এই মুহূর্তে নিজের বাসায় আইসোলেশনে আছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলছেন। ইরেশ জানালেন, হালকা জ্বর আর কাশি নিয়ে তাঁকে একটি ইভেন্টে আয়োজকেরা যেতে বাধ্য করেন। ইরেশ তাঁদের বারবার অনুরোধ করেছিলেন, তাঁর হালকা জ্বর ও কাশি। তবু তাঁরা নাছোড়বান্দা। অগত্যা যেতে হয় ইরেশকে। অল্প সময় থেকে এরপর চলে আসেন তিনি।
ইরেশ বললেন, ‘আমরা কেন জানি এখনো সচেতন হচ্ছি না। সবারই তো নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন থাকা উচিত। আমি সাধারণত অসুখের খবর ফেসবুকে জানাই না। কিন্তু এবার জানাতে বাধ্য হয়েছি। কারণ, আমি সেদিন যে  ইভেন্টে গিয়েছি, তাঁদের সবাইকে আলাদা করে ফোন করে জানানো সম্ভব নয়। তাঁরা যেন আমার ফেসবুক পোস্ট পড়ে সচেতন হন এবং নিজ দায়িত্বে করোনা টেস্ট করান।’

ইরেশ জানালেন, তাঁর খাওয়াদাওয়া সবই স্বাভাবিকভাবে চলছে। ইরেশের বাবা কিংবদন্তি অভিনেতা আলী যাকেরের মৃত্যুর ১৫ দিনের মাথায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার খবরটি জানা গেল।

ইরেশ যাকের

তাঁর বাবাও দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়ার পর কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। গত ২৭ নভেম্বর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। নানা চরিত্রে অভিনয় করে তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। স্বাধীনতা-পরবর্তী মঞ্চনাটকের অন্যতম সংগঠক ও সফল নাট্যনির্দেশকও ছিলেন আলী যাকের। সংস্কৃতিজগৎ ছাপিয়ে তাঁর মেধার দ্যুতি ছড়িয়েছিল বিজ্ঞাপনী খাতে। একুশে পদকসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে পান মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা।

বাবা আলী যাকেরের সঙ্গে ছেলে ইরেশ যাকের
ফাইল ছবি: প্রথম আলো