শাহেদের দৌড়

চরিত্রের বেশে শাহেদ আলী

এক শুটিং সেট থেকে আরেক শুটিং সেটে যাঁরা দৌড়ে বেড়ান, তাঁদের বলে অভিনেতা। শাহেদ আলী তাঁদেরই একজন। তাঁরও একটা ‘দৌড়’ আছে, কিন্তু সেটা কত দূর? সেই দৌড়ের দৈর্ঘ্যই–বা কত?

শাহেদ আলীকে দেখা যাবে ঈদুল ফিতরের বেশ কয়েকটি নাটক, ওয়েব ফিল্ম ও সিরিজে

প্রায় ২৫ বছর, মঞ্চের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে দৌড়েছেন শাহেদ আলী। ক্যামেরার পেছনেও ছিলেন কিছুদিন। প্রস্ফুটিত হয়েছেন ক্যামেরার সামনে। তিনি বলেন, ‘আমরা যে কাজ করি, সেটা কেবল করার জন্য করার কাজ নয়। ধ্যান ও প্রচেষ্টার যোগে সর্বোচ্চ আর্ট ফর্মে নিজেকে উপস্থাপন করা সম্ভব। বিশ্বমানের কাজে যুক্ত হওয়া সম্ভব। সেই যাত্রায় পা রেখেছি কেবল।’ ফেরেশতে ছবিতে ইরানি পরিচালকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন এই অভিনেতা। রোজা রেখে সারা দিন শুটিং করেছেন ছবিটির জন্য। শুরুতে পরিচালক ও কলাকুশলীদের ভাষা বুঝতে দোভাষীর সাহায্য নিতে হতো। একপর্যায়ে সেটারও আর দরকার হচ্ছিল না। সম্প্রতি ঢাকায় শেষ হলো ফেরেশতে ছবির শুটিং। শাহেদ বলেন, ‘আমরা অনেক ইরানি সিনেমা দেখেছি। কখনো ইরানি কোনো পরিচালকের ছবিতে কাজ করতে পারব, ভাবিনি। সেই সুযোগ পেয়ে ভালো লেগেছে।’

ইরানের পরিচালক মুর্তজা আতশ জমজমের সঙ্গে শাহেদ আলী

ঈদের নাটক দ্য কিডন্যাপার, ওয়েব ফিল্ম অমানুষ-এ অভিনয় করেছেন শাহেদ আলী। নাটক ও ওয়েব ফিল্মের দৈর্ঘ্য তো সবারই জানা। এ ছাড়া একটু দীর্ঘ কাজও করেছেন তিনি। আট পর্বের ওয়েব সিরিজ দৌড়-এ অভিনয় করেছেন। গত সোমবার সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। অনেক অভিনয়শিল্পীর মধ্যে প্রধান চরিত্রে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা বা করতে না পারার আক্ষেপ থাকে। শাহেদ আলীর ক্ষেত্রে সে রকম নেই। অভিনেতা হিসেবে তিনি যেকোনো চরিত্রকে সমান গুরুত্ব দিতে চান। তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, প্রজ্ঞার বিচারেই একজন শিল্পী এগিয়ে থাকেন। কে কী চরিত্রে অভিনয় করছেন, দর্শকদের সামনে তাঁর উপস্থিতি কতক্ষণ, এসব আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

শাহেদ আলী

নাটকের দল প্রাচ্যনাটের সার্কাস সার্কাস, কইন্যা, আ ম্যান ফর অল সিজনস, রাজা এবং অন্যান্য নাটকগুলোর মঞ্চে পাওয়া গেছে শাহেদ আলীকে। শিগগিরই মঞ্চে আসছে দলটির নতুন নাটক অচলায়তন, সেখানেও কাজ করবেন তিনি। মঞ্চ থেকে পর্দা—সবখানে নিজের এই দৌড় অব্যাহত রাখতে চান এই অভিনেতা।