শুটিং বন্ধ, তবে...

মামুনুর রশীদ
ছবি: সংগৃহীত

করোনায় কঠোরতম লকডাউনে ছোট পর্দার সব শুটিং বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। আজ ২৩ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব শুটিং বন্ধ থাকবে। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জরুরি বিবেচনায় শুটিংয়ের সিদ্ধান্ত আসতে পারে, এমনটাই জানালেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম।

একটি ঈদ নাটকের পোস্টার
ছবি: সংগৃহীত

লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এফটিপিও শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এফটিপিও সভাপতি মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কঠোর লকডাউনে আমাদের জীবন-জীবিকা সচল রাখার স্বার্থে, বিশেষ করে ঈদ অনুষ্ঠান নির্মাণে যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য এফটিপিও কর্তৃপক্ষ গত লকডাউনে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে। পরে বিশেষ বিবেচনায় শুটিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এখন ঈদ অনুষ্ঠান নির্মাণ শেষ। আপাতত আর কোনো শুটিং করা যাবে না।’

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম
ছবি: সংগৃহীত

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম। তিনি মনে করেন, সামনে করোনা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য সরকার স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি করেছে। এমন অবস্থায় শুটিংয়ের প্রশ্ন ওঠে না। সেলিম বলেন, ‘আজ (২৩ জুলাই) থেকে মাত্র লকডাউন শুরু হলো। কয়েক দিন না গেলে পরিস্থিতি বোঝা যাবে না। আমরা দুই থেকে পাঁচ দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। এর মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে কেউ চাইলে আমরা শুটিংয়ের অনুমতি দেব। তবে সেটা পরিস্থিতি বুঝে। সকল সংগঠন মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

ঈদের আগে একটি নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে
ছবি: সংগৃহীত

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নির্মাতা বলেন, ‘আমরা সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করতে চাই। ঈদের আগে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে একাধিক শিল্পী শুটিং করেছেন। একটা শুটিংয়ে একাধিক মানুষ থাকে। শিল্পী, লাইটম্যান, ক্যামেরাম্যান, অন্যান্য কলাকুশলী মিলে ২০ থেকে ৩০ জন। এর মধ্যে দু–একটি ঘটনা বাদে আমরা বেশির ভাগই সুরক্ষিত রয়েছি। সচেতন থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে। সংগঠনের কাছে চাওয়া, আমরা নিয়ম মেনে শুটিং করতে চাই।’