জন্মদিনের সেরা উপহার একটি চিরকুট

মীর সাব্বির। সংগৃহীত

ছবির কাজ শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই ছবিটি সেন্সরে জমা দেওয়া হবে। সেন্সর পেলেই ‘রাত জাগা ফুল’ ছবিটি মুক্তির দিন-তারিখ ঠিক করবেন পরিচালক মীর সাব্বির। গতকাল শুক্রবার ছিল এই অভিনেতা ও পরিচালকের জন্মদিন। এই দিনে সাধারণত শুটিং না করলেও, কাল ‘বাকের খনি’ নামের ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করতে হয়েছে তাঁকে। আর জন্মদিনে সেরা উপহার হিসেবে পেয়েছেন একটি চিরকুট।

টিভিনাটকে বরিশালের ভাষাকে জনপ্রিয় করার পেছনে যাঁদের অবদান রয়েছে, মীর সাব্বির সেই দলের অন্যতম। এ নিয়ে রীতিমতো গর্বিত তিনি। আর নিজের মাতৃভাষার জনপ্রিয়করণকে নিজের বিজয় হিসেবে দেখেন সাব্বির। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে আমি, “বরিশাল বনাম নোয়াখালী” নামের নাটকটা বানিয়েছিলাম। তারপর থেকে নাটকে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা দেশের মানুষের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মায়ের কাছে শেখা ভাষা নাটকের মাধ্যমে মানুষের কাছে অধিক পরিচিতি পাচ্ছে, এটা আমাকে খুব আনন্দ দেয়। একে নিজের বড় বিজয় মনে করি।’

‘জ্ঞানীগঞ্জের পণ্ডিতেরা’ নাটকে মিলন ভট্টাচার্য ও মীর সাব্বির। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় এবং পরিচালনা দুই জায়গাতেই সক্রিয় মীর সাব্বির। দুটোই সমান গুরুত্বসহকারে করেন তিনি। বরং নতুন নতুন সব অভিনয়শিল্পী নিয়ে কাজ করে তাঁদের জয় করেছেন তিনি। নতুনদের সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে সাব্বির বলেন, ‘নতুনদের সমস্যার কথা না বলে তাদের প্রশংসা করতে হবে। সমস্যা সবারই থাকে। আমি মনে করি নতুনেরা অনেক বেশি সম্ভাবনাময়। তাদের ভালোটাই বেশি, সমস্যা কম। যাদের সমস্যা আছে, সেটা আলোচনায় না আনাই ভালো।’

জন্মদিনে সহকর্মী ও বিনোদন অঙ্গনের সবার শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন মীর সাব্বির। শুক্রবার কীভাবে কাটিয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ে সবাই অভিনন্দন জানিয়েছে। সবাইকে নিয়ে কেক কেটেছি। অনেকেই ফোন করেছেন, শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। দিনের শুরুতেই, রাতে, আমার দুই বোন, আমার দুই ছেলে, পরিবারের অন্যরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমার ছোট ছেলের বয়স ৭ বছর। সে, “আই লাভ ইউ বাবা” লিখে একটি চিরকুট উপহার দিয়েছে। সন্তানের উইশটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। মনে হয়েছে, পৃথিবীর সেরা উপহারটা ছেলের কাছ থেকে পেলাম।’

অভিনেতা মীর সাব্বির ও স্ত্রী ফারজানা চুমকি। ছবি : প্রথম আলো

দীর্ঘ ২১ বছরের ক্যারিয়ার। অভিনয়ের কারণে মীর সাব্বির দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। তবু তিনি মনে করেন, কেবলই ভালো কাজ করা সম্ভব হয়নি। সামনে আরও ভালো ভালো কাজ করে যেতে চান তিনি। সবচেয়ে অনুপ্রাণিত হন মায়ের কাছ থেকে। সাব্বিরের মা তাঁর নাটকের বড় ভক্ত। সাধারণ জীবন যাপন করেন মীর সাব্বির। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝগড়া করেন, তবে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আর দশটি সাধারণ পরিবারের মতো সুখে জীবন কাটান তাঁরা। তিনি বলেন, ‘স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই। আমরা অন্য সব পরিবারের বাইরে না। মান-অভিমান হয়। আবার পরিস্থিতি বুঝে যখন যার মনে হয় “আমার” অপরাধ, তখন সে শুধরানোর চেষ্টা করি।’