সুস্থ থাকতে অসুস্থ শরীরে শুটিং করছেন শর্মিলী

বয়স বেড়ে যাওয়ায় শর্মিলী আহমেদের শরীরে জেগে উঠেছে নানা জটিলতা। উচ্চ রক্তচাপ, হাঁটুব্যথা, হাড় ক্ষয়সহ নানা সমস্যা তাঁর। নিয়ম করে খেতে হয় নানা রকম ওষুধ। সম্প্রতি শরীর একটু বেশি খারাপ লাগলে ডাক্তার তাঁকে অভিনয়ে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ শুটিং না থাকায় বাসায় বসে থাকতে থাকতে শরীর আগের চেয়ে বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছিল তাঁর।

শর্মিলী আহমেদ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।

অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ বেশ কবছর ধরে অসুস্থ। করোনাকালে তাঁর শরীর আরও খারাপ হয়ে যায়। চিকিৎসক তাঁকে নানা পরামর্শ দিয়েছেন, পাশাপাশি যথাযথ নিরাপত্তার সঙ্গে শুটিংয়েও ফিরে যেতে বলেছেন। কাজে গেলে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন, এই ছিল চিকিৎসকের পরামর্শ। সেটা মেনেই অসুস্থ শরীর নিয়ে শুটিংয়ে ফিরেছেন শর্মিলী আহমেদ, কেবল পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার তাগিদে।

বয়স বেড়ে যাওয়ায় শর্মিলী আহমেদের শরীরে জেগে উঠেছে নানা জটিলতা। উচ্চ রক্তচাপ, হাঁটুব্যথা, হাড় ক্ষয়সহ নানা সমস্যা তাঁর। নিয়ম করে খেতে হয় নানা রকম ওষুধ। সম্প্রতি শরীর একটু বেশি খারাপ লাগলে ডাক্তার তাঁকে অভিনয়ে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ শুটিং না থাকায় বাসায় বসে থাকতে থাকতে শরীর আগের চেয়ে বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছিল তাঁর। তিনি জানান, মার্চ-এপ্রিল মাসেও ভালো ছিলেন তিনি।

করোনায় ৭ মাস শুটিং না থাকায় শরীর ক্রমে খারাপ হতে থাকে, সঙ্গে মন। শর্মিলী আহমেদ বলেন, ‘ভালো থাকার জন্য অসুস্থ শরীর নিয়ে শুটিং করছি। শুটিংয়ে লোকজনের থেকে একটু দূরে থাকি। মেকআপ রুমে অভিনেতা ছাড়া কাউকে আসতে দিই না। যখন শটে যাই, ইউনিটের সবাই মাস্ক পরে দূরত্ব বজায় রাখেন। খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে।’

দিলারা জামান ও শর্মিলী আহমেদের বন্ধুত্ব ৪০ বছরের বেশি। ছবি: প্রথম আলো

শুটিং ইউনিটে অভিনয়শিল্পীরা শর্মিলী আহমেদকে ডাকেন আম্মা বলে। তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবে নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা খুব সচেতন থাকেন। গত মাসের শেষ দিকে ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ ধারাবাহিকটি দিয়ে কাজে ফিরেছেন শর্মিলী। শর্মিলী আহমেদ জানালেন, শুটিং সেটে পৌঁছানো নিয়ে একটু ভয়ে থাকতে হয় তাঁকে। বেশির ভাগ শুটিংবাড়িতেই নেই লিফট। তিন বা চারতলায় পায়ে হেঁটে উঠতে হয় তাঁকে।

একটি ছবির দৃশ্যে সৈয়দ হাসান ইমাম, এ টি এম শামসুজ্জামান, আবুল হায়াত, আমিরুল হক চৌধুরী ও শর্মিলী আহমেদ

শর্মিলী বলেন, ‘যে হাউসগুলোতে কাজ করছি, সেসব জায়গায় সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে হয়। পায়ে এমন ব্যথা যে দুটো করে ধাপ উঠেই দম নিতে হয়। তিন-চারতলা পর্যন্ত উঠতে খুবই কষ্ট হয়। সাবধানে উঠি, তারপরও হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যায়। মাঝে মাঝে বাসায় গিয়ে থেরাপি দিতে হয়।’

‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নাটকের শিল্পীদের সঙ্গে শর্মিলী আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
গত মাসের শেষ দিকে ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ ধারাবাহিকটি দিয়ে কাজে ফিরেছেন শর্মিলী।

বাড়িতে নিয়মিত থেরাপি নিচ্ছেন শর্মিলী আহমেদ, করতে হচ্ছে ব্যায়াম। করোনা মহামারির কারণে মাসে ৭-৮ দিনের বেশি শুটিং করছেন না। শেষ কয়েক দিন কাটিয়েছেন চলমান ধারাবাহিক এবং শারদীয় দুর্গোৎসবের নাটকের কাজ নিয়ে।

শর্মিলী আহমেদকে ছোট পর্দায় নিয়মিত দেখা গেলেও তিনি আদতে চলচ্চিত্রের মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন