হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামটা না করলে মনে হতো অনেক পিছিয়ে আছি

শান্তি ও উন্নয়নে শিক্ষার অবদান তুলে ধরার লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০১৮ সালে প্রতিবছর ২৪ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। এই দিবস নিয়ে কথা হয় মডেল ও অভিনয়শিল্পী আদিল হোসেন নোবেল–এর সঙ্গে। জানালেন তাঁর শিক্ষাজীবনের কথা। এও জানালেন, পেশাগত ব্যস্ততার ফাঁকে সুযোগ পেলেই আবার পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হবেন। নিজেের আরও উন্নয়ন ঘটাতে চান

আদিল হোসেন নোবেল
ছবি : সংগৃহীত

ছোটবেলা থেকে কমার্সের সাবজেক্ট পড়ার ইচ্ছা ছিল সবচেয়ে বেশি। ইচ্ছা এ–ও ছিল, ইন্টারমিডিয়েটের পর দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার। ইচ্ছা থেকেই নিজের মতো করে দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করি। তবে আমাদের ওই সময়টায় চট্টগ্রামের পরিবারে অনেক ধরনের বাধা ছিল। ওই বয়সে আব্বা দেশের বাইরে পড়ার বিষয়টি কোনোভাবেই অ্যালাউ করবেন না। আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কয়েকজন সিনিয়র ভাইকে দেখে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া আগ্রহ তৈরি হয়। আমার ওই ভাইয়েরা ছিল বয়সে অনেক বড়।

চট্টগ্রামের সেন্ট মেরিস স্কুলে পড়াশোনার শুরু আদিল হোসেন নোবেলের। এরপর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ হয়ে কমার্স কলেজে ভর্তি হন। পরে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে
ছবি : সংগৃহীত

তখন তো ইন্টারনেটের যুগ ছিল না, তারপর খোঁজখবর নিয়ে চার-পাঁচটি ইউনিভার্সিটিতে আবেদনও লেখালেখি করছিলাম, দুটি থেকে অফার লেটারও পেয়েছিলাম। এত দূর মনে আছে, টেক্সাসের একটা ইউনিভার্সিটিতে সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার একটু ইচ্ছা, হায়ার স্টাডিতে যদি বাইরে যেতে পারি, ভিন্ন কিছু যদি দেখতে পারি। কিন্তু হয়নি।

বাবা ঢাকায় চলে আসায় বিশ্ববিদ্যালয় বদল করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকেই ম্যানেজমেন্টে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন নোবেল

চট্টগ্রামের সেন্ট মেরিস স্কুলে পড়াশোনার শুরু আদিল হোসেন নোবেলের। এরপর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ হয়ে কমার্স কলেজে ভর্তি হন। পরে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে। বাবা ঢাকায় চলে আসায় বিশ্ববিদ্যালয় বদল করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকেই ম্যানেজমেন্টে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন নোবেল। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন। একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে কর্মরত নোবেল করোনার মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি গ্রোগ্রাম করেছেন। এটাকে তাঁর জীবনের অন্যতম অর্জন মনে করছেন তিনি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রোগ্রামটা না করলে মনে হতো নিজে অনেক পিছিয়ে আছি—এমনটাই মনে করছেন নোবেল।