অবশেষে ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিনেমার নায়কের জয়

সোহম

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের মাঠ চিত্রনায়ক সোহমের কাছে নতুন নয়। পাঁচ বছর আগে তাঁকে সেখানকার  বড়জোড়া এলাকার প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল জিতলেও তিনি হেরেছিলেন। এবার কোমর বেঁধে নেমেছিলেন সোহম। মাঝে করোনাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতা  কাবু করতে পারেনি তাঁকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের গ্রামীণ এলাকা চষে ফেলছেন টালিউডের অভিনেতা। ফলও পেয়েছেন। জিতেছেন সোহম চক্রবর্তী।

সোহমের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী পুলককান্তি গুড়িয়া। অন্যদিকে সংযুক্ত মোর্চা বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের পক্ষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভোট লড়েছেন সিপিএমের আশিস গুছাইত।

তাঁদের সবাইকে হারিয়ে কলকাতার আলোচিত ছবি ‘অমানুষ’, ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘গল্প হলেও সত্যি’, ‘জামাই ৪২০’-এর জনপ্রিয় নায়ক সোহম জয়ী হয়ে বলেন, ‘এই জয় আমার জয় নয়, এই জয় আমার দলের জয়। এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। এটা উন্নয়নের জয়। আত্ম অহংকার নিয়ে যারা থাকত তাদের অহংকার ভেঙে গিয়েছে। ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।’

সোহম

পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আক্রান্ত করার পরিকল্পনা ছিল ওদের। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করব। নেত্রী যে উন্নয়ন করেছেন, সেটাকে ত্বরান্বিত করব। এই জয়ে সবার অবদান রয়েছে। সবাই প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করব।’
রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ে খুশি এবং আবেগে বিহ্বল অভিনেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সোহম চক্রবর্তী।

‘তুই শুধু আমার’ ছবিতে অভিনয় করেছেন মাহিয়া মাহি ও সোহম

তৃণমূল কর্মী–সমর্থকদের প্রতি বারবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এদিন তাঁকে ঘিরে জয় বাংলা স্লোগান দেন তৃণমূলের কর্মী–সমর্থকেরা।

গত বছরের অক্টোবর মাসে করোনা জয় করেছেন সোহম। দুর্বল শরীর নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামেন। পরে চলতি বছরের মার্চ মাসে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত সোহম। থেমে যাননি। তবে চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়েই ফের শুরু হয়েছে মিছিল-মিটিং। আবার শুরু হয়েছে পাড়া বৈঠক। স্বমহিমায় সোহম। চড়া রোদ এড়িয়ে চলছে নির্বাচনী প্রচার। সকাল থেকে একের পর এক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক। এরপর বিকেলে রোদ গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দাপিয়ে শুরু হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার। প্রত্যন্ত পাড়ায় পাড়ায় করেছেন পথসভা।

মিমের সেলফিতে সোহম

শৈশব থেকেই অভিনয় জগতে পা রাখেন সোহম। ১৯৮৭ সালে ‘মেজ বৌ’ ছবিতে সোহমের প্রথম অভিনয়। ওই সিনেমার বিখ্যাত ডায়ালগ ‘মা, আরেকটু হরলিক্স দাও, চেটে চেটে খাবো’ দর্শকদের কাছে হৃদয়গ্রাহী হয়। এরপর অনেক সিনেমায় শিশুশিল্পী হয়ে অভিনয় করেন সোহম। ২০০১ সালে ‘এক টুকরো চাঁদ’ ছবিতে অভিনয়ের পর ছয় বছরের বিরতি। ২০০৭ সালে ফের অভিনয়ে ফেরেন সোহম চক্রবর্তী।