অল্পে বাঁচা যায়

‘কিলবিল’ শিরোনামে একটি নতুন মিউজিক ভিডিও প্রকাশিত হচ্ছে আজ। গেয়েছেন কলকাতার ক্যাকটাস ব্যান্ডের ভোকাল ইউসুফ সাকি ব্যানার্জি। গানটিতে মডেল হয়েছেন ঢাকার তারকা দিলরুবা দোয়েল। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের কাজ শেষ করেছেন এই মডেল ও অভিনয়শিল্পী। কর্মব্যস্ত নতুন জীবন নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

দিলরুবা দোয়েলসংগৃহীত

প্রশ্ন :

লকডাউন কেমন কাটালেন?

একেবারে অন্য রকম কেটেছে। আমাদের গ্রামের বাড়ি রংপুরে। সেখানে লোকজন লকডাউন প্রায় মানেনি বললেই চলে। আমরা একসঙ্গে ঢাকা থেকে গিয়েছি। কর্মজীবনে ঢোকার পর একসঙ্গে এত দিন রংপুরে কখনো থাকা হয়নি।

প্রশ্ন :

লকডাউনে সবাই কিছু না কিছু শিখেছে। আপনি কী শিখলেন বা উপলব্ধি কী?

আমার মনে হয়েছে, সব দিক থেকে প্রস্তুত থাকার পরও জীবনে অনেক কিছু ঘটতে পারে, যেখানে আমাদের কিছুই করার থাকবে না। এটাও বুঝেছি, অনেক প্রয়োজন বাদ দিয়ে অল্পে বাঁচা যায়। কোনো কিছু ছাড়া চলবে না, জীবন আসলে এ রকম নয়। এসব ভেবে আমি যেন নতুন দোয়েল হয়ে গেছি।

দিলরুবা দোয়েল
সংগৃহীত

প্রশ্ন :

একাধারে বেশ কিছু কাজ করে ফেললেন। সবচেয়ে আনন্দ পেলেন কোন কাজে?

সব কটি কাজেই আনন্দের আলাদা আলাদা উপাদান রয়েছে। যেমন ‘কিলবিল’ মিউজিক ভিডিওটা লকডাউনের পর প্রথম কাজ। অল্প লোক নিয়ে ঢাকার ধামরাইয়ে কাজটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথম কোনো বিদেশি গায়কের কাজে যুক্ত হলাম। ‘সুন্দরী’ ওয়েব সিরিজের জন্য শ্রীমঙ্গলে থাকতে হলো। সেখানেও খুব আনন্দ পেয়েছি। পর্যটক কম বলেই হয়তো খুব ভালো লেগেছে। গল্পটার কারণে মনে হয়েছে নিজের চরিত্রেই অভিনয় করছি। সাজেকে গেলাম ‘ক্রস রোড’ ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ে। সেটাও ভালো লেগেছে। আসলে কাজেই আমার আনন্দ।

প্রশ্ন :

ছেলে মাশরিক কেমন করছে?

তার জন্য একটা রোমাঞ্চকর জীবন অপেক্ষা করছে। তাকে ভারতের কালিম্পংয়ের একটি স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক হলেই সেখানে পড়াশোনা শুরু করবে সে। জায়গাটা এত সুন্দর যে আমার নিজেরই আবার পড়াশোনা শুরু করতে ইচ্ছা করছে।