আঁটসাঁট পোশাকে চিন্তা করতে পারেন না সালমা

সালমা হায়েক
ছবি: এএফপি

সুপারহিরো ছবি এটারনালস-এর কস্টিউম দেখে ভয় পেয়েছিলেন হলিউড তারকা সালমা হায়েক। এত ভারী আর আঁটসাঁট পোশাক পরে আগে অভিনয় করেননি তিনি। এমন পোশাকে অভিনয় তো দূরের কথা, চিন্তাও করতে পারেন না এই অভিনেত্রী! কিন্তু সেটাই করতে হয়েছে তাঁকে।

সিনেমার দুনিয়ায় এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত পরিচালক চীনা-মার্কিন নারী ক্লোয়ি ঝাও। তাঁর পরিচালনায় নোম্যাডল্যান্ড ছবিটি এ বছর অস্কার জয় করেছে। আর তাঁর পরের ছবি মার্ভেল স্টুডিও প্রযোজিত এটারনালস। তারকাবহুল ছবিতে অভিনয় করেছেন মেক্সিকান অভিনেত্রী সালমা হায়েক। ৫ নভেম্বর মুক্তি পেতে পারে ছবিটি। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন সালমা হায়েক। এখানে তাঁকে দেখা যাবে একেবারে নতুন রূপে।

সালমা হায়েক
ছবি: রয়টার্স

এক সাক্ষাৎকারে সালমা হায়েক জানান, তাঁর ক্লাস্টোফোবিয়া বা আবদ্ধভীতি আছে। সালমা বলেন, ‘আমি তো পোশাক দেখে ভয়ে শেষ। মনে হচ্ছিল, এই জামা পরে সংলাপ বলার আগেই স্ট্রোক করে বসব। এ রকম পোশাকে অভিনয় তো দূরের কথা, আমি চিন্তাই করতে পারি না। অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে বললাম, “এগুলো কে পরবে?” তারপর সেই পোশাকে নিজেকে যখন আয়নায় দেখলাম, মনে হলো বাহ্‌, আমাকে কী সুন্দর দেখাচ্ছে! মনে হলো, আমি একজন চমৎকার স্প্যানিশ নারী। স্ট্রোকের কথা দিব্যি ভুলে গেলাম। এটা একটা অদ্ভুত সুন্দর অনুভূতি। আমি ভাবিনি যে এমন হবে।’

সালমা হায়েক
ছবি: এএফপি

সালমা হায়েকের ভক্তদের অনেকে মনে করেন, এই গ্রহের সবচেয়ে রূপবতী নারীটি হচ্ছেন সালমা হায়েক। ৫৪ বছর পার করেও দিনে দিনে তাঁর রূপ যেন কমছে না। আর সুপারহিরোইনের পোশাক গায়ে চাপিয়ে তাঁর মনে হয়েছে, তিনি এই গ্রহের সবচেয়ে শক্তিশালী নারী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হলো, এই আকর্ষণীয় মেক্সিকান নারীটি বিশ্ব জয় করবে।’

এটারনালস সিনেমায় সালমা হায়েক ছাড়াও অভিনয় করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তারকা শিল্পীরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, রিচার্ড ম্যাডেন, জেমা চ্যান, কুমেইল নানজিয়ানি, লরেন রিডলফ, ব্রায়ান হেনরি, লিয়া ম্যাকহিউ, ডন লি, ব্যারি কিউয়ান, কিট হ্যারিংটন প্রমুখ। সালমা মনে করেন, কাস্টিংয়ের এই বৈচিত্র্য একটা সুপারহিরো ছবির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেন?

সালমা হায়েক
ছবি: এএফপি

সেই উত্তরে বললেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যখন ছবিটি দেখবে, এই ছবির শক্তির সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করতে পারবে। সিনেমার একটা চরিত্র দেখে মনে করবে, আরে, এটাই তো আমি। বৈচিত্র্যই শক্তি, বৈচিত্র্যই সৌন্দর্য। এই ছবির উদ্দেশ্যই হলো বিশ্বের মানুষকে এক সারিতে এনে একাত্মতার জয়গান করা। মনে করিয়ে দেওয়া যে বিশ্বটাই একটা পরিবার। নানা প্রান্তের ৮০০ কোটি মানুষ সেই পরিবারের সদস্য। আর তারা প্রত্যেকেই সুপারহিরো।’