
প্রথম ক্যামেরার সামনে
একটি মুঠোফোন অপারেটরের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার সময় প্রথম ক্যামেরার মুখোমুখি হই। একদম নতুন কোনো অভিজ্ঞতা অর্জনের সময় মনের ভেতর যে উত্তেজনা কাজ করে, সেদিন আমার ঠিক তেমন লাগছিল। প্রথম শুটিং করতে গিয়ে মানুষ সাধারণত নার্ভাস থাকে। কিন্তু আমার একেবারেই তেমন লাগছিল না। খুব মজা করেই কাজটা শেষ করেছিলাম।
হলে দেখা প্রথম সিনেমা
ছোটবেলা থেকেই হলে গিয়ে নিয়মিত সিনেমা দেখা হতো। মায়ের সঙ্গে প্রায় প্রতি শুক্র বা শনিবার সিনেমা দেখতে যেতাম আমি। এ জন্য জীবনে প্রথম কোন সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখেছিলাম, সেটা ঠিক মনে করতে পারছি না। খুব সম্ভবত জুরাসিক পার্ক ছবিটিই প্রথম দেখা হয়েছিল। কিন্তু তখন আমি এতই ছোট যে সে সময়ের স্মৃতিগুলো আমার কাছে খুব আবছা।
প্রথম বিদেশভ্রমণ
প্রথম বিদেশে যাই ভারতে। সেবার কলকাতায় গিয়েছিলাম। অবশ্য বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যাইনি। কাজের সূত্রেই যাওয়া। তবে প্রথমবার কলকাতায় গিয়েছি, সেটা একেবারেই অনুভূত হচ্ছিল না। কারণ, ছোটবেলা থেকেই পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের এত বই পড়েছি; সেখানে কলকাতার সব গলি-ঘুপচি, রাস্তাঘাটের বর্ণনা এমনভাবে হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছিল যে মনেই হচ্ছিল না কোনো অচেনা শহরে প্রথম পা রেখেছি।
প্রথম রান্না
এখন ব্যস্ততার কারণে রান্নাবান্না খুব একটা করা হয় না। কিন্তু রান্না বিষয়টার সঙ্গে আমি খুব পরিচিত। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ডাল, শাকসবজি রান্না করতাম। এ ধরনের কোনো বাঙালি পদ জীবনে প্রথম রান্না করেছিলাম বলে মনে হয়।
প্রথম প্রেম
আমার প্রথম প্রেম সমরেশ মজুমদার। এই সাহিত্যিকের প্রেমে এখনো পড়ে আছি। তাঁর লেখা ছোটগল্প পড়ে তাঁর প্রেমে পড়ে যাই। কৈশোরেই আমি সমরেশ মজুমদারের গর্ভধারিণী ও সাতকাহন উপন্যাস পড়ে ফেলেছিলাম। তাঁর কত লেখা যে আমি পড়েছি, নিজেরও হিসাব নেই। ভারতে গেলে প্রায়ই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়। প্রথম দেখা হওয়ার সময়েই আমি প্রিয় লেখককে বলেছিলাম, ‘আমি কিন্তু আপনাকে দাদা ডাকতে পারব না। সমরেশ বলেই ডাকব।’ তাঁকে আমি এখনো নাম ধরেই ডাকি।
অনুলিখন: নাদিয়া মাহমুদ