এফডিসিতে ইফতারি সরবরাহসহ নিপুণের নানা উদ্যোগ

নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত
নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে এফডিসিতে কোনো শুটিং নেই। ফ্লোরগুলো ফাঁকা। প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে না। তবে মসজিদের ইমামসহ এই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা নিয়োজিত, তাঁরা ঠিকই তাঁদের কাজ করে চলেছেন। রমজানের এই সময়টায় এই মানুষগুলোর মধ্যে ইফতারসামগ্রী দিচ্ছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘করোনার কারণে সবকিছুই বন্ধ। এরপরও প্রাণের জায়গা এফডিসির কোনো কার্যক্রম না চললেও কিছু মানুষ ঠিকই তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আমার মনে হলো কীভাবে তাঁদের পাশে থাকা যায়। তাই ভাবলাম, পুরো মাসের ইফতারের দায়িত্ব নিয়ে যদি পাশে থাকতে পারি, ভালো লাগবে।’

নিপুণ বলেন, এফডিসিতে পুলিশ, আনসার ও নিরাপত্তার দায়িত্বে ১০ জন আর মসজিদে ২ জন ইমাম। সব মিলিয়ে ১২ জনের ইফতারের আয়োজন করতে পেরে নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবান মনে করছেন।

নিপুণ বলেন, ‘বহু বছর ধরে ‌প্রতি রোজায় আমাদের বাসা থেকে ২০ জন মানুষের ইফতারের আয়োজন করে থাকি। এবার যেহেতু সবাই ঘরবন্দী, ভাবলাম আর কী করা যায়। আব্বুর সঙ্গে আলাপ করে ২০ জনের পাশাপাশি এফডিসিতে যাঁরা এই সময়টায় থাকবেন, তাঁদের ব্যাপারটাও চূড়ান্ত করি। এটা পরম শান্তির ব্যাপার। কারণ যে এফডিসি ও চলচ্চিত্র আমাকে নিপুণ হিসেবে তৈরি করেছে, সেখানকার মানুষের এভাবে পাশে থাকতে পারাটা ভীষণ সৌভাগ্যের।’

নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত
নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিন আগে চলচ্চিত্রের মেকআপম্যানদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নিপুণ। গত সপ্তাহে চলচ্চিত্রের স্টিল ক্যামেরাম্যানদের আর্থিক সহায়তা দেন তিনি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সস্পাদক জায়েদ খানের কাছে এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। পাশাপাশি চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংঠনের নামের তালিকা নিয়ে গেছেন, যাঁদের তিনি দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা করবেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি নিপুণ এখন ব্যবসায়ীও। রাজধানী ঢাকার বনানীতে প্রসাধনী ও লাইফস্টাইলকেন্দ্রিক ব্যবসা ‘টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা’ পরিচালনা করছেন তিনি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ইতিমধ্যেই কর্মীদের অগ্রিম বেতন দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রেখেছেন এই চিত্রনায়িকা।