কচি-কাঁচাদের মেলা

৫ অক্টোবর ছিল কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ঈদের কারণে আনন্দানুষ্ঠানটি তখন হতে পারেনি। হলো গতকাল। দিনভর সংগঠনটির খুদে বন্ধুরা মাতিয়ে রাখে সেগুনবাগিচার নিজস্ব কার্যালয়টি। খুদে বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সাবেক সদস্যরা।

সকাল সাড়ে ১০টায় শিশুশিল্পীদের গাওয়া সম্মেলক গান দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর চেয়ারপারসন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মেলার পরিচালক খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
সেলিনা হোসেন বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকেই কচি-কাঁচার মেলা শিশুদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে। সেই সুশিক্ষার চেতনাগত কারণে এই সংগঠনের কোনো সদস্য রাজাকার হয়নি, হয়েছেন শহীদ। মানুষ হওয়ার পরিপূর্ণ শিক্ষা দেয় যে প্রতিষ্ঠান তা বিশ্বের যেকোনো সফল ইতিহাসের উপকরণ হতে পারে।’
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘আমরা শিশুদের তিনটি ভালোবাসা কথা শেখাই, সেটা ভাষা, দেশ ও মা। এই তিনটি বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে শিশুরা এখানে প্রতিনিয়ত বিচরণ করে একসময় একজন পুরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করে মেলার খুদে সদস্য নোহা। মেলার বিস্তারিত তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সাধারণ সম্পাদক আলপনা চৌধুরী। বক্তারা কচি-কাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই, সুফিয়া কামাল, আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পল্লীকবি জসীমউদ্দীনসহ অন্যদের স্মরণ করেন।
আলোচনা শেষে আবার শুরু হয় শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে পরিবেশিত হয় আবৃত্তি, নাচ, গান ও নাটিকা। বিকেলে স্মৃতিবিজড়িত ভিডিও ক্লিপস উপস্থাপন শেষে সংস্থার প্রাক্তন সদস্যরা স্মৃতিচারণা করেন। এর পর খুদে সদস্যরাও তাদের ভাবনাগুলো জানিয়ে দেয় উপস্থিত সুধীজনদের।