গানে-স্মৃতিচারণায় বেহালাশিল্পীকে স্মরণ

লোকনাট্যদলের জনপ্রিয় প্রযোজনা কঞ্জুস নাটকের একটি দৃশ্য এটি। গতকাল জাতীয় নাট্যশালায় এ নাটকের ৬৭০তম মঞ্চায়ন হয় l ছবি: সংগৃহীত
লোকনাট্যদলের জনপ্রিয় প্রযোজনা কঞ্জুস নাটকের একটি দৃশ্য এটি। গতকাল জাতীয় নাট্যশালায় এ নাটকের ৬৭০তম মঞ্চায়ন হয় l ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে যে কজন গুণী বেহালাবাদক ছিলেন, আলমাস আলী তাঁদের একজন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের বক্তৃতাকক্ষে ছিল তাঁকে স্মরণের আয়োজন। সাংস্কৃতিক সংগঠন পঞ্চভাস্করের এই আয়োজন শুরু হয় এক মিনিটের নীরবতার মধ্য দিয়ে।
এই আয়োজনের শুরুতেই পঞ্চভাস্করের হয়ে কথা বলেন প্রিয়াংকা গোপ। তারপর ভাইয়ের স্মৃতিচারণায় সামনে আসেন সিরাজুল ইসলাম।
আলমাস আলীকে স্মরণ করে গানে আর তাঁর স্মৃতিচারণায় হাজির হয়েছিলেন তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু, স্বজন ও সহকর্মীরা। তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী শাহীন সামাদ বলেন, ‘আলমাসের স্মরণসভায় আসতে হবে, সেটা কখনো ভাবতে পারিনি। ওর মতো এত ভালো বেহালাবাদক আর তৈরি হচ্ছে না। ফলে ওর শূন্যতা পূরণের নয়। অনেক দিন অসুস্থ ছিল সে, দুর্ভাগ্য যে ওকে দেখতে যেতেও পারিনি।’
শাহীন সামাদ তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘ভেসে আসে সুদূর স্মৃতির’ গানটি গেয়ে শোনান। অনুষ্ঠানে সেমন্তী মঞ্জরী করেন ‘আরও আঘাত সইবে আমার’, সাঈদা হোসেন শোনান ‘তুমি তো সেই যাবে চলে’, মেহেদী ফরিদ করেন ‘মেঘছায়ে সজল বায়ে’, কানিজ হুসনা আহম্মদী ‘জনম জনম তব’ গানগুলো গেয়ে শোনান।
জগদানন্দ রায়ের একটি লিখিত স্মৃতিচারণা পাঠ করার পর জয়ন্ত রায় আবৃত্তি করে শোনান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পরিচয়’ কবিতাটি। এ ছাড়া স্মৃতিচারণা করেন এনামুল হক ওমর, ইফতেখার হোসেনসহ আরও অনেকে। দুই বছর ক্যানসারে ভুগে ১১ অক্টোবর মারা যান বেহালাশিল্পী আলমাস আলী।