জাদুঘরে বন্যার গান

মিলনায়তনের প্রতিটি আসন পূর্ণ। যত মানুষ বসার সুযোগ পেয়েছে, সে তুলনায় মাঝের সারিতে এবং পেছনে দাঁড়িয়ে ছিল আরও বেশিসংখ্যক দর্শক। ভেতরে ঢুকতে না পেরে ফিরেও গেছে অনেকে। জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে রবীন্দ্রনাথের জয়ন্তীতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গানের অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে চিত্র ছিল এটি। আর অনুষ্ঠানের শেষে শ্রবণেন্দ্রিয়ের ষোলো আনা তৃপ্তি নিয়ে ফিরেছেন শত দর্শক।

নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরেই মঞ্চে এসেছিলেন বন্যা। তবে এতটুকু বিরক্তি দেখা যায়নি আসনে বসা কিংবা বসতে না পারা দর্শকের মাঝে। প্রধান অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রীর বক্তব্যও ছিল সংক্ষিপ্ত। বক্তব্য দেন জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী আর ইমেরিটাস অধ্যাপক আলমগীর মো. সিরাজউদ্দীন। মঞ্চ সাজানো হয়েছিল পর্দায় কুঠিবাড়ির বিশাল আলোকচিত্র আর ফুল দিয়ে।
শুরুতে রবীন্দ্রনাথের ‘কৃপণ’ এবং একটি চিঠি পাঠ করে শোনালেন সামিউল ইসলাম। এর পরই দর্শকের অবিরাম করতালির মধ্য দিয়ে বন্যা এলেন। শুরুতে গাইলেন গীতাঞ্জলি থেকে, ‘তাই তোমার আনন্দ আমার ’পর’। পরের গানটি ছিল ‘তোমার এ ঝরনা তলায়’, ‘আমার মাথা নত করে দাও হে’। গানের সঙ্গে ছিল র্যা চেল প্রিয়ার নাচ। এ পর্যায়ে শিল্পী সংস্কৃতিমন্ত্রীকে আবৃত্তির জন্য মঞ্চে ডাকেন। গলা কিছুটা বসা ছিল। তবু সংস্কৃতিমন্ত্রীর কণ্ঠে ‘সোনারতরী’ আর ‘বাঁশি’ কবিতা দুটি দর্শকদের মুগ্ধ করে। বন্যা এরপর একে একে আরও গাইলেন ‘যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা’, ‘একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ’। দর্শকের অনুরোধে বন্যা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় গাইলেন।