দিনগুলোয় আরও মানবিক হই- জয়া

জয়া আহসান। ছবি: প্রথম আলো
জয়া আহসান। ছবি: প্রথম আলো

এ সময়ে কথা ছিল, জয়া আহসান ব্যস্ত থাকবেন ভারতীয় নির্মাতা মানস মুকুল পাল পরিচালিত সিনেমার কাজে। ঝটপট সেই কাজ শেষ করে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। করোনাকাল–পূর্ববর্তী পরিকল্পনাগুলোর কথা মনে করে জয়া বলছিলেন, ‘আমি সব গুছিয়ে রেখেছিলাম। পয়লা বৈশাখের সময়টাতে আমি কোনো কাজ রাখি না। এবারও সব কাজ পয়লা বৈশাখের আগে শেষ করে ঢাকায় ফিরে আসার ইচ্ছা ছিল।’

কিন্তু এখন তো আর কাজের প্রশ্নই আসে না, সেই কবে থেকেই তো জয়া আহসান আছেন ঢাকায়, তাঁর নিজ বাড়িতে, পরিবারের সঙ্গে। পয়লা বৈশাখে তাই আলাদা ছুটি বলে কিছু নেই। সবার মতো, সবার নিরাপত্তার জন্য নববর্ষেও জয়া বাড়িতে থাকছেন, পরিবারের সঙ্গেই দিনটি উদ্যাপন করতে যাচ্ছেন।

জয়া আহসান। ছবি: প্রথম আলো
জয়া আহসান। ছবি: প্রথম আলো

নতুন বছরের নতুন প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে জয়া বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের কয়েকটি লাইন। ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’—এই হলো নতুন বাংলা বছরের কাছে অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রত্যাশা। তাঁর কাছে এখন এই বৈশাখে রবিঠাকুরের এই গানের প্রতিটা পঙ্ক্তি ভীষণ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘এখন সময় আমাদের মনোবল শক্ত করার। আমরা তো বরাবরই যোদ্ধা জাতি। সব ধরনের প্রতিকূলতায় আমরা সংগ্রাম করে টিকে থাকতে জানি। এবারও আগামী দিনের সংগ্রামের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। ঘরে বসে সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এই সংকট আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরে সব নতুন করে শুরুর প্রত্যাশা করছি। আশা করছি, আমরা যেন সবাই সামনের দিনগুলোয় আরও মানবিক হই। শুধু নিজের আর শুধু পরিবার নয়, আমরা যেন পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষ, প্রতিটি জীবের প্রতি হই মানবিক।’