পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘গণ্ডি’ ফিরছে

‘গণ্ডি’ সিনেমার দৃশ্যে সব্যসাচী চক্রবর্তী আর সুবর্ণা মুস্তফাছবি: ফেসবুক

বন্ধুত্বের কি আসলে কোনো বয়স থাকে? নাকি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যায় বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, আড্ডা, গান বা একটু ভালো সময় কাটানোর ইচ্ছা? আদৌ কি তা হারায়? উত্তর দিয়েছেন সব্যসাচী। ‘গণ্ডি’ সিনেমায় তিনি বলছেন, ‘এই বন্ধুত্ব, আড্ডা, গল্প কি কেবল তোমাদের? আর আমাদের কি কেবল মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা?’ আসলে যে তা নয়, সেই গল্পই বলা হয়েছে ‘গণ্ডি’ ছবিতে। বড় পর্দায় আবারও ছবিটি দেখার সুযোগ এসেছে।
ঠিক এক বছর আগে বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল ‘গণ্ডি’। ভালোবাসার ‘গণ্ডি’তে কাটুক ফাল্গুনে—এই স্লোগান নিয়ে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়াই ফিল্মস আয়োজন করেছে দুই দিনের এক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর। এ আয়োজনে দেখানো হবে ফাখরুল আরেফিন খান পরিচালিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘গণ্ডি’। জানা গেছে, এই দুই দিনের প্রতিদিন বেলা ১১টা, ৩টা ও সন্ধ্যা ৬টায় প্রদর্শিত হবে ছবিটি।

‘গণ্ডি’ ছবির শুটিংয়ে সব্যসাচী চক্রবর্তী
ছবি: সংগৃহীত

রোমান্টিক কমেডি ঘরানার ‘গণ্ডি’ ছবির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সব্যসাচী চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের সুবর্ণা মুস্তাফা। আরও অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, অপর্ণা ঘোষ, মাজনুন মিজান, শুভাশিস ভৌমিক ও পায়েল মুখার্জি।

শুভজিৎ রায়ের ‘পথের সাথী’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত এই ছবির গল্প দুই অচেনা বয়স্ক মানুষকে ঘিরে। তারা বাড়িতে একা থাকেন। তাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে নিজেদের মতো ব্যস্ত। কোনো একদিন এই দুজনের পরিচয় হয়। আলাপ হয়। পরিবারের অন্য সবাই যখন যে যার কাজে ব্যস্ত, তখন অবসরপ্রাপ্ত একাকী দুজন মানুষ খুঁজে নিয়েছে জীবনের ঝাঁপি খুলে বসে গল্প করার সঙ্গী। সমুদ্রপাড়ের বালুপথে চলার সঙ্গী। নিজেদের সিদ্ধান্তে তারা বাঁচতে চায়। বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবারের মানুষ। ঘটে নানা ঘটনা।

১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়াই ফিল্মস আয়োজন করেছে দুই দিনের এক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর
ছবি: ফেসবুক

যুক্তরাজ্যের ভ্যালেন্টাইন পার্ক, ইল ফোর্ড, ইস্ট চ্যাপেল, এন ফিল্ড, পিকাডলি সার্কাস ছাড়াও ঢাকা ও কক্সাজারের বেশ কয়েকটি লোকেশনে চিত্রায়িত ‘গণ্ডি’ মুক্তি পায় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, ‘আমাদের এই ছবিটি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেয়েছিল। সেই সময় ছবিটি অনেকেই উপভোগ করেছেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই ছবিটি দেখতে পারেননি। মূলত তাঁদের জন্যই আমরা এই ফাল্গুনে ছবিটির দুই দিনের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছবিটি দেখতে পারবেন দর্শকেরা।’

শুভজিৎ রায়ের ‘পথের সাথী’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত এই ছবির গল্প দুই অচেনা বয়স্ক মানুষকে ঘিরে
ছবি: ফেসবুক